এদিন একটি ট্যুইট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে লেখেন, 'বিরাট নিরাপত্তা বলয়ে তাজ বেঙ্গলে অভিষেক পুত্রের জন্মদিন পালন চলছে।" বিশাল পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে রসিকতা করে একাধিক মন্তব্যও করেন শুভেন্দু ওই ট্যুইটে।
এরপরেই গর্জে ওঠে তৃণমূল শিবির। তাদের পক্ষ থেকে কুণাল ঘোষ জানান, "রবিবার দুপুরে তাজ বেঙ্গলে হয়েছে ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব আত্মপ্রকাশের পর প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠান। সেটাকেই বিরোধী দলনেতা লিখেছেন রাতেই ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠান। এই চূড়ান্ত মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা করছি। শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক ফোবিয়ায় ভুগছেন।এবি ফোবিয়া। অভিষেককে ভয় পাচ্ছেন উনি। পাশাপশি গভীরভাবে অনুভব করছি দিশাহারা, দিশাহীন অবস্থা শুভেন্দু অধিকারীর। পাগলামির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর শয়নে স্বপনে অভিষেক ভয় দেখছে। জল পড়ে পাতা নড়ে পাগলা শুভেন্দু মাথা নাড়ে।"
আরও পড়ুন : পায়ে ফুটবল... বীরভূমের আদিবাসী গ্রামে অন্য মেজাজে তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়!
কুণাল ঘোষ জানান, দলের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, যেখানে সোমবার থেকে তৃণমূল যুব ও তৃণমূল ছাত্র শাখা সংগঠন শুভেন্দু অধিকারীর মানসিক সুস্থতা কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাবে। থাকবে ফুল, গ্রিটিংস কার্ডও। পাশাপাশি থাকবে একটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। আর সেই কার্ডেই লেখা থাকবে 'গেট ওয়েল সুন' বার্তা।
এদিন বীরবাহা হাঁসদা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য নিয়েও কুণাল ঘোষ তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, এই মিথ্যাচারের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিৎ ওঁর। দলের তরফ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর মানসিক সুস্থতা কামনা করলাম।"
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠান মঞ্চ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনার অভিযোগে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁরা। উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে খোদ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও। এখনও পর্যন্ত নন্দীগ্রামে মঞ্চ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। এরা হলেন, কার্তিক বারিক, গৌরাঙ্গ মণ্ডল এবং সঞ্জীব মণ্ডল।
