ঠিক কী নিয়ে এই বৈঠক তা এখনও পরিষ্কার না হলেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত উঠে আসবে এই বৈঠকে, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে জোর দেওয়া হবে এক ব্যক্তি এক পদে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃণমূল নেত্রী চান, যে কোনও ব্যক্তি একটিই পদে থাকুন, এবং সেই দায়িত্ব ভালো ভাবে সামলান।
advertisement
সূত্রের খবর, যেসব দলত্যাগীরা এখন দলে ফিরতে চাইছেন তাদের নিয়েও সিদ্ধান্ত প্রণয় হতে পারে এই বৈঠকে। তাছাড়া তৃণমূল চায় কলকাতা-সহ ১১০টি পুরসভার নির্বাচন যত শিঘ্র সম্ভব সেরে ফেলতে। তার জন্য সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিয়েও কথা হতে পারে।
এই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নরেন্দ্র মোদির প্রতিস্পর্ধী হিসেবে দা়ঁড় করিয়ে দিয়েছে। এখন পাখির চোখ ২০২৪-এ দিল্লিদখল। আর তা করতে গেলে ২০১৯-এর লোকসভার ফলও পাল্টাতে হবে তৃণমূলকে। সেক্ষেত্রে সাংগঠনিক দুর্বলতার জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে। সূত্রের খবর, এই জোয়ারের মধ্যেও কেন হুগলি, বাঁকুড়ায় আশানুরূপ ফল হল না তা নিয়ে আলোচনার অবকাশ থাকছে আজ। সাংগঠনিক কাঠামোয় জোর দিতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার কোনও নরম সুরই বরদাস্ত করবেন না। দলে থাকতে হলে কাজ করতে হবে, এমনটাই বুঝিয়ে দেওয়া হতে পারে এই বৈঠকে।
তবে এসবের পরেও একটি ক্লাইম্যাক্স হয়তো অপেক্ষা করেছে এদিনের বৈঠকে। এক যুবনেতার অভিষেক হতে পারে আজ। নতুন করে ঘুঁটি সাজাতে বসে সামগ্রিক ভাবেই জোর দেওয়া হতে পারে তারুণ্যে।
অর্থাৎ এক কথায় বললে আজ পাঁচটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এদিনে বৈঠকে যথা-১ এক ব্যক্তি এক পদ নীতি, ২ পুরভোট ৩ দলত্যাগীদের নিয়ে সিদ্ধান্ত ৪ লোকসভা ভোটস্ট্র্যাটেজি ৫ যুবনেতার অভিষেক। উল্লেখ্য আজকের বৈঠকে থাকবেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি কোনও পর্যবেক্ষণ জানান কিনা, এই নিয়ে জল্পনা থাকবে।
