উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট হবে ভবানীপুর বিধানসভায় (Bhawanipore Constituency By Election 2021)। দেওয়ালে, রাস্তার মোড়ে হোর্ডিং, ফ্লেক্স ও সামাজিক মাধ্যমে এই স্লোগানটি দিয়ে জোর প্রচার শুরু হয়েছে। ছোট ছোট হোর্ডিং তৈরি করেও ভবানীপুর এলাকাজুড়ে প্রচার অবশ্য শুরু হয়েছিল বেশ কয়েকদিন আগেই। ২০১১ সালের উপনির্বাচন ও ২০১৬ সালের সাধারণ বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর ২০২১ সালের নির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)। প্রায় ৩০ হাজার ভোটে জিতেও, গত ২১ মে ভবানীপুর বিধানসভা আসন থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। তাই এই আসনে যে আবারও মমতা প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। তাই ভোটের তারিখ ঘোষণা হতেই প্রচারে নেমে পড়েন।
advertisement
গত ১০ বছর ধরে নিজের বাড়ির পাশে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে লড়াই করেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ২০২১-এ ঘটেছে ব্যতিক্রমী ঘটনা। স্বেচ্ছায় ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী লড়েছেন অন্যতম স্পর্শকাতর কেন্দ্র 'নন্দীগ্রাম' থেকে। রাজ্যে নির্বাচনের ঘণ্টা বাজার বহু আগেই মমতা নিজেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে চান তিনি। নন্দীগ্রামের মাটি থেকে দাঁড়িয়েই অবশ্য ভবানীপুর তার কতটা কাছের সেটাও বলে দিয়েছিলেন। উপনির্বাচনের কথা উঠতেই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩০ হাজার ভোটে জিতে যাওয়া রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে এই কেন্দ্রটি ছেড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। দলের সকলেই চেয়েছিলেন, চেনা ভবানীপুর থেকেই উপনির্বাচনের লড়াইয়ে নামুন মমতা। তাই তাঁর জন্য তৈরি হয়েছে নতুন স্লোগান।
যদিও রাজ্যে বাকি চার আসনের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। দ্রুত তা ঘোষণার দাবিতে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। অক্টোবরের মাঝের দিকে হয়তো হতে পারে উপনির্বাচন। তবে তা যখনই হোক, প্রস্তুতি ভালভাবেই সেরে নিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। ভবানীপুর যে কেন্দ্রের প্রার্থী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে তো বাড়তি নজর থাকবেই। নতুন এই স্লোগান তারই প্রমাণ।
ABIR GHOSHAL