এদিন তিনি বলেন, ‘‘অমিত শাহের পুলিশের ভালবাসার অত্যাচার সবাই দেখেছে। যে বর্বরোচিত আচরণ করল.. জোর করে পুলিশ লাইনে নিয়ে গেল। অনেকের ঘড়ি হারিয়েছে। আমার টাকা পয়সা খোয়া গেছে। আমাকে আজ চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়েছে। তাঁরা আমাকে আগামী ১৫ দিন ফিজিওথেরাপি নিতে বলেছেন।’’
advertisement
গত মঙ্গলবার সন্ধে ৬টা নাগাদ কৃষিভবনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি৷ কিন্তু, প্রায় ঘণ্টা তিনেক অপেক্ষা করার পরেও তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি তিনি৷ এরপরেই সেখানে অবস্থানে বসে পড়েন তৃণমূল নেতারা৷
এদিকে ততক্ষণে কৃষি ভবনে পৌঁছয় দিল্লি পুলিশের বিশাল বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন পদস্থ আধিকারিকরা। ধরনা তুলে নেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়। সঙ্গে আটকের হুঁশিয়ারিও। কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন তৃণমূল নেতারা। শেষে স্রেফ টেনে-হিঁচড়ে কৃষি ভবন থেকে বের করে দেওয়াই নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, মহুয়া মৈত্র, দোলা সেন ও বাকি সকলকেই আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিন গতকালের সেই ঘটনা প্রসঙ্গে শান্তনু সেন বলেন, ‘‘কাল অনুমতি নিয়েই গিয়েছি। তাই আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রী পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেল। বাংলা বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাথে দেখা করলেন। আগামিকাল রাজভবন অভিযানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসবেন।’’