advertisement
তৃণমূল সূত্রের খবর, এবার আটপৌরে দৈনিক সংবাদপত্রের চেহারা নেবে জাগো বাংলা। তাতে বাজারচলতি পত্রিকার মতোই রোজের খবর থাকবে। দেশ, বিদেশের খবরের পুঙ্খানুপুঙ্খ আপডেট থাকবে। থাকবে নানা ধরনের উত্তর সম্পাদকীয়ও।
দলের মুখপত্রকে দৈনিক সংবাদপত্র হিসেবে জনপ্রিয় করায় অবিসংবাদিত ভূমিকা ছিল সিপিএম-এর। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পত্রিকা রাখার স্ট্যান্ড এ দেখা মিলত গণশক্তির। পাঠকের মধ্যে এক ধরনের চাহিদাও ছিল গণশক্তির। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গণশক্তির চাহিদা কমেছে। সেই জায়গাটাই দখল করতে চেয়েছে জাগো বাংলা। তৃণমূল ভবন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকার ২০১১ সালেই ৬০০০০ মতো গ্রাহক ছিলেন। ক্রমেই তা বেড়েছে। কাগজটি সম্পাদনার দায়িত্ব ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাঁধে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার নিজে কলম ধরেছেন এই জাগো বাংলায়।
এমনকি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আবেগ উৎকণ্ঠা বারংবার ফুটে উঠেছে এই কাগজে। জনজীবনের নিখুঁত পর্যবেক্ষক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসংযোগের জন্য এই কাগজকে খুব ভালো ভাবে ব্যবহার করতে পেরেছেন বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল।
এরই মধ্যে তৃণমূল কলেবরে বড় হয়েছে। ২০২১ নির্বাচনে সব অনুমানকে ছুঁড়ে ফেলে তৃতীয় বারের জন্য মমতা এসেছে তৃণমূল। কিন্তু ক্ষমতায় এসে জনসংযোগ বা সংগঠনের পায়ের তলায় জমি বৃদ্ধির কাজে এতটুকুও ঢিলে দিতে রাজি নন তৃণমূল নেত্রী। আর সে কাজে যে দলীয় মুখপত্র কতটা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে তার উদাহরণ হিসেবে সর্বভারতীয় প্রেক্ষিতে রয়েছে আরএসএস-এর আরগানাইজার, শিবসেনার সামনা। বাংলায় রয়েছে গণশক্তি। আগামী দিনের সেই মডেলটিই অনুসরণ করতে উদ্যত তৃণমূল।