তবে সেই সব কিছুকে ছাপিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন, রাজনীতি ছাড়তে চাইছেন তাপস রায়? তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমি রাজনীতি ছাড়ব ঠিক সময়। আমি বারবার বলেছি গাওস্কর হওয়া উচিত। সাধারণ আলাপচারিতায় গাভাস্করের উদাহরণ দিয়েছি। ব্যাটে রান থাকতে থাকতে ক্রিজ ছেড়ে দেওয়া উচিত। না হলে সিলেক্টরদের কোপে পড়তে হতে পারে। বয়স একটা ফ্যাক্টর, শরীর একটা ফ্যাক্টর। শরীর সাথ না দিলে কি উচিৎ পড়ে থাকা ? সব দলের উচিৎ বয়স সীমা বেঁধে দেওয়া। নিজেরও উচিৎ রেহাই দেওয়া। আমাদেরও উচিৎ দল বলার আগেই রেহাই দেওয়া। আমি কারও নাম করে বলছি না। আমি সাধারণ কথা বলছি। ব্যতিক্রম থাকতে পারে। নিজের মান সম্মানের কথা বলেও এটা করা উচিত। এতে দলের ভাল হয়।’’ আর অভিমান প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, ‘‘আমি মুখপাত্র ও রাজ্যের ভাইস প্রেসিডেন্ট। দুঃখ, অভিমান থাকলে সে রাজনৈতিক কর্মী নয়। আমি বিধানসভায় ডেপুটি চিফ হুইপ। দল বা মুখ্যমন্ত্রী যাদের দায়িত্ব দিয়েছেন তারা যথেষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তি। ভাল কাজ করছেন। আমার দুটো কথার সাথে বাকি কিছু গুলিয়ে ফেলবেন না।’’
advertisement
আরও পড়ুন- মমতা-অভিষেকের পঞ্চায়েত প্রস্তুতি বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর, আজ বৈঠকে বিজেপি
একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমি দলের অস্বস্তির কারণ নেই ৷ আমি জ্বলন্ত প্রাণ ছিলাম, আছি, থাকব। সময় আসলে দেখতে পাবেন।’’ তিনি বলছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকেই রাজনীতির বয়সের কথা বলেছেন। আমি গত দেড় বছর ধরে বলেছি। এটা নতুন বলছি না। এটার সাথে অন্য কিছু ভাবার অবকাশ বা যোগ-বিয়োগ নেই ৷