শুক্রবার ফেসবুকে মনোরঞ্জন ব্যাপারি লিখেছেন, ''গত বছর তখনো বাংলার বিধান সভার ঘোষনা হয়নি আমাকে নাগপুরের বিশ্বাস বাবু ফোন করে বলেছিলেন অনেক দিন ধরে লিখছেন, অনেক পুরস্কারও পেয়েছেন। তবে এবার আপনার একটা কেন্দ্রীয় সরকারের পুরস্কার পাওয়া দরকার। আপনি যদি বিজেপিতে যোগ দেন তাহলে আপনাকে পদ্মশ্রী পাইয়ে দিতে পারি।'' শুধু তাই নয়, সেই সিদ্ধান্ত যে তাঁর ঠিক ছিল, তার ব্যাখ্যা দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক লিখেছেন, ''ভাগ্যিস তার কথায় সেদিন কর্নপাত করিনি। যে পুরস্কার কংঙ্গনা রানাবত পায় আর যাইহোক সে পুরস্কার আমার সম্মান বৃদ্ধি করতো না।'' (বানান অপরিবর্তীত)
advertisement
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম মামলা কি ভিন রাজ্যে? মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথে সব নজর ১৫ নভেম্বরের দিকে
রিকশা এবার বিধানসভায়। বলাগড়ে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনোরঞ্জন ব্যাপারির নাম ঘোষণার পর থেকেই এই প্রচার শুরু হয়েছিল হুগলিতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তখন বলেছিলেন, ''মাটির মানুষ মনোরঞ্জন ব্যাপারি। রান্না করেন, রিকশা টানেন, সাহিত্য চর্চাও করেন।'' তার আগে দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির সভাপতি করা হয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু-বিরোধিতা মানেই বহিষ্কার! রাজ্য BJP-র অন্দরে ঝড়, অশনিসংকেত দেখছেন অনেকেই
হিন্দু উদ্বাস্তু হিসেবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে এদেশে চলে এসেছিলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারির পরিবার। তাঁর পর থেকেই জীবন যুদ্ধে গা ভাসিয়েছেন দলিত এই লেখক। কখনও চা বেচেছেন, কখনও ডোমের কাজ করেছেন, কখনও বা স্কুলে রাধুঁনির কাজও করেছেন, আর তাঁর সেই চিরচেনা রিকশাও টেনেছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারি। তাঁর সাদামাটা জীবনযাপনই ইউএসপি। তার উপর ভর করেই কঠিন বলাগড় কেন্দ্র থেকেও তিনি জিতে আসেন বিধানসভায়।
আর বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই তিনি ছুটে বেড়াচ্ছেন গোটা বিধানসভা এলাকা। কিনেছেন একটি টোটো। সেটিই বিধায়কের বাহন। তাঁর এই সাদামাঠা জীবনযাপন আকৃষ্টও করছে এলাকার মানুষকে। কিন্তু তাঁর একাধিক পোস্ট বারবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এবার বিজেপি-র বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুললেন তৃণমূল বিধায়ক।