হাইনেক সাদা পাঞ্জাবি আর সাদা কুর্তা পরে বিধানসভার অধিবেশন থেকে অলিন্দে ইতিউতি ঘুরে বেড়াচ্ছেন মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি। জিজ্ঞেস করতেই ইদ্রিসের জবাব, সিবিআই, ইডি-র বিষয়ে দল তো যা বলার বলেছে। মুখ্যমন্ত্রীও বিধানসভায় তার বক্তব্য পেশ করেছেন। আমি দলের একজন সামান্য বিধায়ক। এ বিষয়ে আমি আমার মত করে প্রতিবাদ করছি।"
advertisement
আরও পড়ুন: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বিড়ম্বনায় পড়েছে দল... বিস্ফোরক সৌগত রায়
কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিষয়ে ইদ্রিসের দলের অবস্থান ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। তৃণমূল মনে করে, রাজনৈতিক ভাবে নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করতে না পেরে, প্রতিহিংসা মেটাতে বেছে বেছে রাজ্যের শাসক দলের নেতা,মন্ত্রীদের তদন্তের নামে হেনস্থা করা ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই রাজ্য সিবিআই, ইডি-কে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। বিধানসভার চলতি অধিবেশনে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতি সক্রিয়তার নিন্দা করে প্রস্তাব পাশ করিয়েছে শাসক দল। শাসক দলের এই প্রস্তাব পাশ করানোর পাল্টা সমালোচনা করেছে বিজেপিও। যদিও, শাসক ও বিরোধীর এই রাজনৈতিক তরজায় রাজ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা কোনও অংশে কমেনি।
আরও পড়ুন: রাজ্যে বাতিল করা হল ৬০ লক্ষেরও বেশি রেশন কার্ড !
এই আবহে বিধানসভায় ইদ্রিস আলির এই প্রতীকী প্রতিবাদ। যদিও, বিরোধীদের মতে, আসলে আলাদা করে প্রচারমাধ্যমের নজর কাড়তেই একটু বেশি সক্রিয় ইদ্রিস। সিবিআই, ইডি তাকে ছুঁতে পরবে না, ইদ্রিসের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলছেন, 'ওর দলের কেউই এখন আর নিরাপদ নন। ওর বিধানসভা এলাকায় ওর দলের নেতারাই তো কমিটিতে সদস্যপদ পাইয়ে দিতে টাকা নেওয়া নিয়ে ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ফলে, আগাম এসব না বলাই ভাল। কখন আবার ওকে না ডেকে দেয়। " যদিও, এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ ইদ্রিস। দলের পাশাপাশি, সিবিআই, ইডি নিয়ে, নিজের প্রতিবাদকে বিধানসভায় করতে পেরে খুশি ইদ্রিস।
কিন্তু, সিবিআই, ইডি-র প্রতিবাদে ডোন্ট টাচ মাই বডি লিখে শুভেন্দুকে নিশানা করলেন কেন ইদ্রিস? সহাস্য বিধায়কের জবাব, এটা কিছু নয়, আসলে, এক ঢিলে দুই পাখি মারা। রাজ্যে সিবিআই, ইডিকে ডেকে এনেছেতো এই শুভেন্দুরাই। দেখলেন না মুখ্যমন্ত্রীই তো বলে দিলেন, ''প্রধানমন্ত্রী এ কাজ করতে পারেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। বিজেপিতে গিয়েছিল সরকার হবে এই আশায়। আশা পূরণ হয়নি, তাই, শুভেন্দুরাই অমিত শাহদের ধরে এ রাজ্যে সিবিআই, ইডি-কে দিয়ে সরকার ভাঙার খেলা শুরু করেছে। তাই শুভেন্দুকে নিশানা তো করবই।"