সৌগত রায় জানিয়েছেন, " কিছুদিন আগেই আমার সঙ্গে দেবযানীর দেখা হল দমদম সেন্ট্রাল জেলের একটি অনুষ্ঠানে। সেদিন ও আমাকে বা জেলের অফিসারদের কিছু বলেনি৷ আমি সামনে থেকে কথা বললাম। কিছু তো বলল না। এখন ওঁর কথা বিশ্বাস করব কী করে? ওঁর মা চিঠি সামনে নিয়ে এসেছে। কিন্তু ওঁর মা তো আর অভিযুক্ত নয়৷ দেবযানীর এই চিঠির কথা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। তদন্ত হওয়া উচিত।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ দুপুরের পরেই আচমকা আবহাওয়া বদল, তুমুল দুর্যোগের আশঙ্কা, কাঁপিয়ে ঝড়-বৃষ্টি জেলায় জেলায়
যদিও শুভেন্দুর বক্তব্যের পাল্টা কুণাল ঘোষ বলেন, “দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা যে চিঠি লিখেছেন, সিআইডি তাঁর উত্তর দিয়েছে। কিন্তু তার পরে শুভেন্দু অধিকারীর যে উচ্ছ্বাস দেখতে পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে দমবন্ধ পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে এমন কিছুর একটা অপেক্ষা তিনি করেছিলেন। যেন তিনি আশা করেছিলেন এমন একটা চিঠি আসছে। শুভেন্দুর কেন এত আনন্দ, সেটাও তদন্তে দেখা উচিত।”
আরও পড়ুনঃ গয়নার দোকান হার মানবে! থরে থরে রাখা অনুব্রতর কালীর গয়না! র্যাডারে স্বর্ণকার
সারদাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়। তাঁর মায়ের বিস্ফোরক চিঠি জমা পড়েছে আদালতে। দেবযানীর মা বৃহস্পতিবারই আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হন। শর্বরী মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, তাঁর মেয়েকে চাপ দেওয়া হচ্ছে সিআইডির তরফে। সারদাকাণ্ডে টাকা নেওয়ার ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নাম নিতে বলা হচ্ছে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে টুইটারে সরব হন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সিআইডিকে মমতা-অভিষেকের রক্ষী বলে কটাক্ষ করেন। লেখেন, অপরাধকে প্রশ্রয় দিতে হচ্ছে সিআইডিকে। শুভেন্দুর দাবি, বিচারাধীন বন্দিকেও মিথ্যা বয়ান দিতে বাধ্য করা হচ্ছে বিরোধী দলনেতার নামে।
দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছেন সারদাকাণ্ডে ধৃত দেবযানী মুখোপাধ্যায়। দেবযানীর মা শর্বরী মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেন, গত মাসের শেষের দিকে সিআইডির একটি দল সংশোধনাগারে গিয়েছিল। সেখানেই চাপ দেওয়া হয় দেবযানীর ওপর। শর্বরী মুখোপাধ্যায়ের আরও দাবি, তাঁর মেয়েকে বলতে বলা হয়, ‘শুভেন্দু অধিকারী ও সুজন চক্রবর্তী সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। এই লেনদেন দেবযানীর সামনে হয়েছে’। যদিও দেবযানীর মায়ের দাবি, দেবযানী সিআইডি কর্তাদের জানিয়েছেন, এমন কোনও ঘটনা তাঁর সামনে ঘটেনি।
ABIR GHOSHAL