সেটা ছিল দক্ষিণ কলকাতার জেলা কংগ্রেসের মিটিং ৷ নতুন যুব নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম পৌঁছে গিয়েছিল তৎকালীন কংগ্রেসের যুব সভাপতি প্রিয়রঞ্জন ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কানেও ৷ সেই মিটিংয়ে এগিয়ে এসে যুব সভাপতি নিজে থেকে পরিচয় করেছিলেন ভবিষ্যত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ৷ সবার সামনে মমতা কে? প্রশ্ন করতেই সমস্বরে সবাই চিনিয়ে দিয়েছিল ছাত্রনেত্রীকে ৷ মমতাকে প্রিয়রঞ্জন সেদিন বলেছিলেন, ‘তুই খুব ভালো করছিস। করে যা। অনেক দূর যেতে হবে তোকে ৷’ সময়ই প্রমাণ করেছে কতটা অকাট্য ছিল প্রিয়রঞ্জনের ভবিষ্যৎবাণী ৷ প্রতিভাবান ছাত্রনেত্রী প্রশংসা পেয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়েরও ৷
advertisement
আরও পড়ুন
‘টাকা তুললে ঠাঁই নেই তৃণমূলে’, ছাত্র নেতাদের কড়া সতর্কবার্তা মমতার
শুধু প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সী নয়, নিজের কাজের জোরেই নজরে পড়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়েরও ৷ রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে ছাত্রনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শুনে গাড়ি থামিয়ে নেমে এসেছিলেন সিদ্ধার্থশঙ্কর ৷ এগিয়ে এসে কলেজ পড়ুয়া যুব নেত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছিলেন মমতার প্রিয় মানুদা ৷ সেদিন ভবানীপুরে জগু বাজারে টুলের উপর দাঁড়িয়ে ছোটখাটো মেয়েটির জোরালো কন্ঠের রাজনৈতিক বক্তব্য মন ছুঁয়ে গিয়েছিল তৎকালীন কং প্রধানেরও ৷ মানুদার মুখে তখন শুধু যুবনেত্রী মমতার প্রশংসা ৷ বলেছিলেন, ‘তোমার নাম খুব শুনেছি। খুব দুষ্টুমি করো কলেজে। কিন্তু আজকে তোমার বক্তৃতা শুনে দাঁড়িয়ে গেলাম। আলাপ করতে এলাম তোমার সঙ্গে।’ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এক কলেজছাত্রী যুবনেত্রীর প্রশংসা, সেই দিনটার কথা আজও ভোলেননি তৃণমূল নেত্রী ৷
আরও পড়ুন
মোমো চ্যালেঞ্জ থেকে বাঁচবেন কিভাবে? অবশেষে সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ, দেখুন ভিডিও
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূল নেত্রীর গলায় উঠে আসে নিজের ছাত্র রাজনীতির শুরুর দিনগুলির স্মৃতি ৷ সেসব সোনার দিনের কথা মনে করেই বর্তমান যুব নেতা-নেত্রীদের তাঁর পরামর্শ, ‘ভাল কাজ করলে এমনিই চোখে পড়বেন ৷ সামনে আসতে লবি করার দরকার নেই ৷ নিজের কাজই আপনাকে সামনে আনবে ৷’