সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই বৈশালি থেকে কলকাতায় আসেন ওই তিন জন। তাদের রাখা হয়েছিল পোর্ট এলাকায়। গতকাল সন্ধ্যায় ট্যাক্সি করে তিন জনকে আনা হয় কসবা এলাকায়। সেখানেই যুবরাজের হাতে আর্মস তুলে দেওয়া হয়, দেখানো হয় ছবি।
advertisement
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক যুবকের স্কুটিতে বসিয়ে পাঠানো হয়েছিলধৃতকে। গুলি না চালিয়ে শুধু ভয় দেখাতেই বলা হয়েছিল। যুবরাজের বাকি দুই সঙ্গীও ওই এলাকাতেই ছিলেন তখন। বাকি কাজ করবে যারা যুবরাজকে পাঠিয়েছিলেন তারা, এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যুবরাজকে।
জানা গিয়েছে, ধরা পড়ার পর থেকেই মিথ্যা বলছে যুবরাজ। মহম্মদ ইকবালের যে নাম বলেছে, সেই নামে কেউ নেই এই ঘটনায়। অন্য এক ব্যক্তি যিনি কলকাতার তিনি বৈশালি থেকে এনেছিলেন এদের। যুবরাজকে ২৫০০ টাকা অ্যাডভান্স হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার থেকে যে ট্যাক্সিতে চেপে অভিযুক্তরা ঘুরছিল, ট্যাক্সি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের কারণ কে তাকে বুক করেছিল? কোথায় কোথায় এই তিনজন কে নিয়ে গিয়েছিল? কোথায় কোথায় এই তিনজনকে নিয়ে গিয়েছিল? কত টাকা দেয়া হয়েছিল? সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পাঁচজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, ঘটনার আগে অভিযুক্ত যুবরাজ এই ট্যাক্সি নিয়ে তিলজলায় যায়, সেখান থেকেই ভয় দেখানোর কৌশল বোঝানো হয়। তাকে বলা হয় স্কুটিতে করে সে যাবে পিছনে ছদ্দবেশী ইকবাল-সহ দলবল থাকবে তারা পুরোটা দেখে নেবে। যুবরাজ কে বলা হয় সে শুধুমাত্র ভয় দেখিয়ে স্কুটিতে করে চলে যাবে। ঘটনার মূল চক্রী ছদ্মবেশী ইকবাল, এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।