আজ ১০ মার্চ ব্রিগেড ময়দানের এই সভায় যোগ দিতে সোশাল মিডিয়ায় এক ভিডিও বার্তায় সকলকে আহ্বান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ মার্চ ব্রিগেডে জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই জনগর্জন সভার আগে জেলায় জেলায় জেলায় চলছে জোর প্রস্তুতি। হাতে সময় ছিল মাত্র দেড় সপ্তাহ, তাই এখন এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে উঠে পড়ে লেগেছিলেন দলের কর্মী-সমর্থকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ঠিক দোকানের মতো স্বাদ! পাপড়ি চাট বানান বাড়িতেই, সন্ধ্যা জমে যাক টক ঝাল মিষ্টি স্বাদে
রাজ্য জুড়ে গত ১০ দিন ধরে ৫০০-রও বেশি সভা-মিছিল হয়েছে। প্রতি ব্লকে এবং প্রত্যেক পুরসভা এলাকায় ১টি করে সভা করেছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে ছিল গ্রাম ও শহরের ব্লকে ব্লকে মহা ব্রিগেডের সমর্থনে মিছিল-মিটিং। ৯ মার্চ অবধি এই প্রচার চালানোর পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে ৬০ লক্ষেরও বেশি পোস্টার লাগানো হয়েছে।
লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ। আজ ১০ মার্চ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূল জনগর্জন সভার মূল বক্তা স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুকে ‘ব্রিগেড চলো’-র ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘‘বাংলার প্রতি লাগাতার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা – ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, রাস্তা ও একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের টাকা অন্যায়ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং বহিরাগত অত্যাচারীদের বিসর্জনের অঙ্গীকার নিতে ব্রিগেড চলো।”
প্রসঙ্গত, তৃণমূলে দখলে থাকা আরামবাগ দিয়ে বাংলায় লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করেছেন নরেন্দ্র মোদি। আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসাত, শিলিগুড়িতে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই বাংলায় প্রচারাভিযান শুরু করেছেন তিনি। এরপরই ১০ মার্চ ব্রিগেডের ডাক দিয়েছে তৃণমূলে।
ইতিমধ্যেই জেলা সফর শুরু করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, ব্রিগেড থেকেই যে তিনি লোকসভা ভোটের মূল প্রচার শুরু করবেন, তা বলাই বাহুল্য। এদিকে, ইন্ডিয়া জোটের কোন কোন মুখ ব্রিগেডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকবেন, তা এখনও স্পষ্ট না হলেও ব্রিগেডে যে চমক থাকবেই তা নিয়ে নিশ্চিত তৃণমূল নেতারাও। মূলত কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েই ব্রিগেড থেকে সুর চড়াবেন তৃণমূল নেত্রী।