বিজেপির অভিযোগ, ঝামেলার সূত্রপাত ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh) ফ্লেক্স ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে। তৃণমূল ওই ফ্লেক্স ছেড়ে বলে অভিযোগ ওঠে। বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের অভিযোগ, তৃণমূলের গুন্ডাগিরির প্রতিবাদে তাঁরা যখন চেতলা থানায় অভিযোগ জানাতে যাচ্ছিলেন, তখনই তাঁদের উপর মিছিল করে এসে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। সংঘর্ষে একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। দু’পক্ষই দফায় দফায় চেতলা মোড় অবরোধ করে। গোটা ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়েওঠে চেতলা।
advertisement
যে জায়গায় গন্ডগোল, তা ভবানীপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত হওয়ায় তা নতুন মাত্রা পেয়েছে। এই ভবানীপুরই ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র। এবার তিনি অবশ্য নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়েছেন। আর ভবানীপুরে তিনি প্রার্থী করেছেন, বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। আর লোকসভা ভোট ভবানীপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত এলাকায় বিজেপির অভাবনীয় ভোটবৃদ্ধি ওই আসনও ছিনিয়ে নিতে আগ্রহী করে তুলেছে গেরুয়া শিবিরকে।
এবারের ভোটে রুদ্রনীল ঘোষকে ভবানীপুরের প্রার্থী করে চমকে দিয়েছে বিজেপি। একসময় তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকা রুদ্রনীল ভোটের আগেআগেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। তারপরই তাঁকে ভবানীপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রার্থী করে বিজেপি। আর সেখানেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। রুদ্রনীলের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এমনটা ঘটছে। তাঁর সরাসরি তির রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দিকেও। যদিও তৃণমূলের তরফে পুরো বিষয়টাই অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁরা বরং, বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁদের মিছিলে হামলা করার অভিযোগ তুলেছে। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।