তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "এই বিজেপির কেন্দ্রীয় দল রাজনৈতিক পর্যটক। কলকাতার ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখল। তার সঙ্গে কুৎসা করতে আসা। শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে এদের পাঠানো হল। পালিয়ে গিয়ে লুক বদলেও বীরেরা ধরা পড়েছে। সারা দেশে নেতিবাচক প্রক্রিয়া। তাই এল। আর কার সাথে কথা বললেন? আহত পুলিশ আধিকারিক, আহত পুলিশ, বড়বাজার ও হাওড়ার ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছেন? আসলে গুন্ডামি ওরা করেছে। প্ররোচনা দিতে আসা।"
advertisement
তৃণমূলের পরামর্শ, এই প্রতিনিধিদল যান উত্তরপ্রদেশে। এই রাজ্যে গণতন্ত্র আছে। তাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জঙ্গলরাজ বিজেপি শাসিত জায়গায় চলছে। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দফতর নিরাপদ শহর বলেছে। আসলে এরা স্ববিরোধীতা করছে। পাগল, ভবঘুরদের আবাস আছে এখানে। প্রতিনিধিদল আবেদন করলে রাখার ব্যবস্থা করতাম। বাংলা ভাষার মানে বোঝে না এরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ রাজনৈতিক কর্মীদের বলেননি। সায়ন্তন, দিলীপ ঘোষ কী বলেছিলেন? তখন তো কেউ নিন্দা করেনি।"
এভাবেই কলকাতায় বিজেপির পর্যবেক্ষক দল পাঠানো নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর-হাথরাস-উন্নাওয়ে যখন পরপর ধর্ষণ, খুন হয় তখন কোথায় থাকে বিজেপির পর্যবেক্ষক টিম? বাংলায় গণতন্ত্র রয়েছে, যে-কেউ আসতে পারেন। এই রাজ্যে অনেক দেখার আছে। ঘোরার জায়গা আছে। কলকাতা নিরাপদ শহর। তাই দেখতে আসছেন। বক্তব্য কুণাল ঘোষের।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে উজ্জীবিত বিজেপি, আজ থেকে শুরু দুদিনের সাংগঠনিক বৈঠক
তাঁর সংযোজন, বিজেপির বর্বরোচিত আক্রমণে গুরুতর আহত পুলিশ অফিসার-সহ পুলিশ কর্মীদের যেন দেখে যান। আর ওঁরা তো আসছে শুভেন্দু কীভাবে পুলিশের গাড়িতে উঠে গেল সেটা দেখতে। আসলে ওঁরা মজা পেয়েছেন। খোরাক পেয়েছেন৷ তাই সার্কাস দেখতে আসছেন। ওঁরা এসে দেখুন সেদিনের তাণ্ডবে পুজোর মুখে ব্যবসায়ীদের কত ক্ষতি হয়েছে। মন্তব্য কুণালের।