কাঞ্চনজঙ্ঘা জয়ের স্বপ্ন চোখে নিয়ে বেরিয়েছিলেন পাঁচ তরুণ। তিনজন ফিরলেন। কাঞ্জনজঙ্ঘার কোলেই চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন বাকি দুজন। কুন্তলের একগুঁয়ে মনোভাব আর শেরপাদের অসহযোগিতাকেই দায়ী করছেন সাহাবউদ্দিন, রুদ্রপ্রসাদ ও রমেশ। সামিট জয় করে বাড়ি ফেরার আনন্দ নেই। শেখ সাহাবউদ্দিনের গলায় শুধুই আক্ষেপ। চোখে জল, কথায় অভিমান। কেন যে কুন্তল অসুস্থ বোধ করা সত্ত্বেও পাহাড় থেকে নামতে চাইল না!
advertisement
দীর্ঘদিন ধরে অভিযানে যাচ্ছেন। অসুস্থ কুন্তল পাহাড় থেকে না নামলে যে আর বেঁচে ফিরতে পারবেন না, তা তখনই বুঝেছিলেন রুদ্রপ্রসাদ। তবে শুধু কুন্তলের না ফিরতে চাওয়ার মনোভাব নয়, রমেসের গলায় প্রশ্ন শেরপাদের ভূমিকা নিয়েও।
টানা চব্বিশ ঘণ্টার তল্লাশির পর শনিবার ক্যাম্প ফোর থেকে হাঁটা পথে ক্যাম্প টুতে নিয়ে আসা হয় বিপ্লব বৈদ্য ও কুন্তল কাঁড়ারের দেহ। রবিবার সকালে দুজনের দেহই ফিরেছে কাঠমাণ্ডুতে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে দুজনের দেহই রাজ্যে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে এখনও খোঁজ মেলেনি মাকালু অভিযানে যাওয়া আর এক বাঙালি পর্বতারোহী দীপঙ্কর ঘোষের। আবহাওয়া খারাপ থাকায় স্থগিত রয়েছে তল্লাশি অভিযান।