বামেদের সঙ্গে জোট এখন ইতিহাস। ৩ বিধানসভা ও ২ লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে একাই লড়ার সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত কংগ্রেসের উপনির্বাচনে লড়া আটকাতে সক্রিয় ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। রবিবার পর্যন্ত বামেদের উত্তরের অপেক্ষায় ছিলেন। সেই উত্তর আর আসেনি। তাই দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের চাপও আর উপেক্ষা করা সম্ভব হল না।
ভোটে না লড়া নিয়ে অধীরের ওপর চাপ বাড়াচ্ছিল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বও। দলের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধির চাপেই প্রদেশ ইলেকশন কমিটির বৈঠক ডাকতে বাধ্য হন অধীর। এই বৈঠকে প্রশ্ন ওঠে
advertisement
গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভোট বামেদের দিকে যায়নি। এরপরও জোট হলে সেই ভোট তৃণমূলে যাবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়?
উপনির্বাচনে হারার সম্ভাবনা থাকলেও প্রার্থী না দিয়ে কিভাবে সংগঠনকে চাঙ্গা করা সম্ভব?
দলেরই একটি অংশ আবার জানাচ্ছে, প্রদেশ কংগ্রেস বা উপনির্বাচন নয়। এআইসিসি’র লক্ষ এখন ২০১৯। এই লক্ষ্যে বামেদের থেকে তৃণমূলই অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে। দলের তরফে এই বার্তা পেয়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে সময় নেননি অধীর।
শুক্রবারই ধর্মনিরপেক্ষ জোটের প্রসঙ্গে নাম না করে কংগ্রেসকে বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তখন বাম-কংগ্রেস জোটের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল। সোমবারের বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হবে, তা জেনেই এদিন বিধান ভবনে এসেছিলেন ইলেকশন কমিটির সদস্যরা।