তিনি বলেন, “নাটক সব জায়গাতেই হয়ে থাকে। তবে বাংলায় নাটক নিয়ে সরকার যেভাবে উৎসাহ দেখান তা অন্য কোথাও হয় না। কোভিডে এই উৎসবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। গতবারেও একই কারণে করা যায়নি। কিন্তু এবার সেরকম কোনও সমস্যা নেই। তাই ভাল ভাবেই হবে এই উৎসব।”
আরও পড়ুন: সেজে উঠছে ডিমাপুর-কোহিমা, নাগাল্যান্ড পেতে চলেছে প্রথম পাঁচতারা হোটেল
advertisement
তিনি আরও বলেন, “এবার ৮০ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে এই উৎসবের জন্য। এ বছর নাট্য উৎসবে ১৬টি নাটক দেখানো হবে। ২০১১ সালে আমাদের সরকার আসার পর একটা আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এর জন্য আমার সর্বভারতীয় সেমিনার, নাট্য উৎসব, থিয়েটার কর্মশালা চালু করেছি। এটা প্রথম হয়েছিল ২০১৫ সালে। শুধুমাত্র শহর বা কলকাতা কেন্দ্রীক নয়। জেলা ও গ্রাম বাংলাকেও এই বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া হয়ে থাকে। একই রকম ভাবে বাংলার পাশাপাশি অন্য রাজ্যের এমনকি বিদেশি নাটকের দলও আসে।”
আরও পড়ুন: পুজোর থিমে প্লাস্টিক মুক্ত সমাজের বার্তা! সঙ্গে থাকছে নানা চমক
হাওড়া থেকে রবীন্দ্রসদন চত্তরে বইমেলায় এসেছিলেন সুমন দাস। তিনি বলেন, “নাটক একটা এমন বিষয় যা অন্য কোনও মাধ্যমে পাওয়া যায় না। সেই জন্য নাটক যেমন আগেও ছিল তেমনি এখনও রয়েছে। ভবিষ্যতেও এর কোনও বিকল্প হবে না। আমরা সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকি এই সময়টার জন্য। আমাদের কাছে এই উৎসবটা সব চাইতে বড় উৎসব।”
কল্যানী থেকে আসা লিপিকা দে বলেন, “নাটক শুধুমাত্র একটা বিনোদনের মাধ্যম নয় ৷ এটা একটা শিক্ষার মাধ্যমও বটে। রাজনৈতিক, সামাজিক বার্তাও দেওয়া হয়ে থাকে এর মাধ্যমে।”
ক্যানিং থেকে আসা নজরুল বিশ্বাস আক্ষেপ করে বলেন, “যে যতই যা বলুক নাটকের বাজার মন্দাই। আগে পাড়ায় পাড়ায় বছরে অন্তত একবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাটক পরিবেশন করা হত। এখন সেটা জেলায় বা গ্রামের দিকে কোনও কোনও অংশে হলেও কলকাতা বা শহরে সেটা একপ্রকার বন্ধই হয়ে গিয়েছে। নতুন প্রজন্ম মোবাইলে আসক্ত। শিল্প প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গিয়েছে। আর নাটক এখনও শুধুমাত্র শখের বিষয়। তাই যারা খুবই বিখ্যাত তাঁরা কিছু করলে তবুও মানুষের কাছে একটু পৌঁছায়। বাকিদেরটা আর সবার কাছ পর্যন্ত পৌঁছায় না। এই ভাবে আর কতদিন? কালের নিয়মে টিকে থাকা মুশকিল হবে এই শিল্পের। এই শিল্পকে সত্যিই যদি বাঁচাতে হয় বিনিয়োগ করতে হবে। পেশাদার শিল্পী থাকতে হবে। তাহলে গুতিয়ে গুতিয়ে কাকুতি মিনতি করে হাতে টিকিট দিয়ে দর্শক আনতে হবে না৷ দর্শকদের থিয়েটারে আসার জন্য উৎসাহ বাড়বে।”