এখন উডবার্ন ওয়ার্ডে দৈনিক দু’হাজার টাকা ভাড়ার ১২টি বেড, আড়াই হাজার টাকার ১০টি বেড, চার হাজার টাকা প্রতিদিন ভাড়ার ১২টি বেড রয়েছে। এছাড়াও এই ব্লকে ভিভিআইপিদের জন্য সাড়ে ১২ নম্বর কেবিন আছে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পায়ের চিকিৎসার জন্য এখানে আসার পর দেখেন সেখানে কোনও আই সি ইউ নেই। তৎক্ষণাৎ উডবার্ন ওয়ার্ডে দ্রুত আইসিইউ তৈরির নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দেড় মাসের মধ্যে আইসিইউ তৈরি করতে হবে। নতুন বছর পড়ার আগেই এই কাজ তাই সম্পন্ন করতে চাইছে হাসপাতাল।
advertisement
আরও পড়ুন: আমূল বদলাবে আবহাওয়া! ফের ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা বাংলায়, কবে থেকে জানুন, শীতের আরও দেরি? ওয়েদার আপডেট
এই ওয়ার্ডে আইসিইউ না থাকায় কোনো রোগী বিপদে পড়লে চিকিৎসকদের আসতে অনেক সময় লেগে যায়। অন্যান্য ব্লকগুলি উডবার্ন থেকে বেশ দূরে। সূত্রের খবর, উডবার্ন ওয়ার্ডে জরুরি চিকিৎসা হয়না এই কথা ছড়িয়ে গিয়েছে লোকমুখে। সেই তকমা ঘোচাতেই এবার উঠে পড়ে লেগেছে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উডবার্ন ওয়ার্ডের কেবিনগুলি ইতিমধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। তারপর থেকে ভালই ভিড় বেড়েছে। যাঁরা সচরাচর বেসরকারি হাসপাতালে যেতেন তাঁরাও এখন রাজ্যের সরকারি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে আসছেন।
উডবার্ন ওয়ার্ডের পুরনো অপারেশন থিয়েটার সংস্কার করার কাজও চলছে। তার ঠিক পাশেই হচ্ছে তিন শয্যার এই আইসিইউ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, উডবার্নের কাছেই ২০০ শয্যার বাজেট হাসপাতাল তৈরির কাজ চলছে। একদিকে আইসিইউ এবং পুরনো অপারেশন থিয়েটারকে সংস্কার করে একেবারে ঝাঁ চকচকে করে তোলা দুটি কাজই একসঙ্গে করার নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এসএসকেএম হাসপাতালে সবথেকে আধুনিক এই উডবার্ন ওয়ার্ড। রাজ্যের নেতা, মন্ত্রীরা এখানেই চিকিৎসা করান। সেখানে এবার আইসিইউ পরিষেবা যুক্ত হলে সাধারণ মানুষ যে অনেকটাই সুবিধা পাবেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই।