বিজয় মিছিল নিয়েও দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, 'বিজয় মিছিল এখনই নয়। আপনারা সকলে বাড়ি গিয়ে ভালো করে স্নান করুন। সকলে মাস্ক পরুন। বিজয় মিছিল নিয়ে পরে জানানো হবে।'
এদিন, রাজ্যের ফল নিশ্চিত হতেই দেখা গেল কালীঘাটে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পায়ে হেঁটে অফিসে ঢুকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১১ মার্চ নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে পায়ে চোট পেয়েছিলেন মমতা। তারপর থেকে হুইলচেয়ারই ছিল তাঁর সবসময়ের সঙ্গী। সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, বাড়ি ফিরতে পারছেন না বলে প্লাস্টার কাটাতে পারছেন না পায়ের। অবশেষে রাজ্যে ফের ক্ষমতায় আসার দিনই নিজের পায়ে উঠে দাঁড়ালেন মমতা।
advertisement
অমিত শাহ প্রায় পড়েই ছিলেন বাংলায়। নরেন্দ্র মোদি প্রায় প্রতি সপ্তাহে এসে সভা করেছেন রাজ্যে। দাবি করেছেন, বিজেপির জেতা শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু রবিবার বাংলার ফলাফল ঘোষণা শুরু হতেই দিকে-দিকে সবুজ ঝড় ওঠে। প্রায় ২০০ আসনে এগিয়ে যেতে শুরু করে তৃণমূল। শাসক দল ছেড়ে বিজেপি নাম লেখানো নেতারাও একেএকে ধরাশায়ী হতে থাকেন। কিন্তু টানটান উত্তেজনা ছিল নন্দীগ্রাম নিয়ে। শেষ লগ্নে এসে সেই নন্দীগ্রামেও তৃণমূল নেত্রী ১২০০ ভোটে হারান শুভেন্দু অধিকারীকে।
এরপরই নিজের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেন তিনি। ভোটের ট্রেন্ড স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরপরই জাতীয় স্তরের সকল বিরোধী নেতাই শুভেচ্ছা জানান মমতাকে। অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং'ও।