কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই পোস্টিং সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।এবার সেই নির্দেশ পালনে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ এই ৩৪৪ জন শিক্ষককে তলব করে তাঁদের পোস্টিংয়ের বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে বলে সূত্রের খবর৷ কার নির্দেশে সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল? কীভাবে পোস্টিং? পছন্দ জেলায় পোস্টিং পেতে কত টাকা দিতে হয়েছে? এজেন্ট মারফত জমা নাকি সরাসরি? এর পিছনে মূল মাথা কারা? এই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা৷
advertisement
সোমবার ৫০ জন শিক্ষককে তলব করা হয় নিজাম প্যালেসে। তাঁরা জানান, ডিআই অফিস থেকে সিবিআইয়ের চিঠি পেয়ে তাঁরা নিজাম প্যালেসে এসেছেন৷ জানা গিয়েছে, রাজ্যের ২৩ জেলারই ডিআই দফতরে পৌঁছেছে সিবিআইয়ের এই নোটিস। ধাপে ধাপে সব জেলা থেকেই নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেবেন তলব পাওয়া শিক্ষকেরা। এঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পর হাই কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই।
এর আগে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ‘পোস্টিং দুর্নীতি’ মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেই জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও রেকর্ড আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাঁর ভিডিও ফুটেজ পেশের উপরে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। কিন্তু তদন্তে বাধা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তাই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই-কে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ভামোরি দেবীর মন্দির থেকে কারবালা চা বাগান, ভোটের আগে জমিয়ে প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী
২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে রাজ্য সরকারের যে নিয়োগ হয়েছিল, তাতেই শিক্ষকদের পোস্টিংয়ে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ উঠে আসে। কোন স্কুলে কার পোস্টিং হবে, টাকার বিনিময়ে তা ঠিক করা হয়েছে, এমন অনিয়মের অভিযোগ তুলে কয়েক জন শিক্ষক মামলা করেন। গত ২৫ জুলাই এ বিষয়ে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।