বুধবার সারাদিনে দুটি জায়গাতেই পুলিশের ইন্টেলিজেন্স ফেল করেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ প্রথমেই বোকা বনে গিয়েছে প্রত্যেকটি জায়গাতে।
আরও পড়ুন- মোদিকে চিঠি, প্রয়োজনে পড়ুয়াদের জন্য দিল্লি যাবেন মমতা! পথ দেখাবেন মুখ্যমন্ত্রী?
সকাল দশটা। টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা বিক্ষিপ্তভাবে দু-চারজন হাজরা মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেন। পুলিশ যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনের সামনে থেকে ৫-৬ জনকে প্রথমে আটক করে।
advertisement
পুলিশ ভেবেছিল, আর কেউ আসবে না। কিন্তু দেখা গেল খানিকক্ষণ পরে কালীঘাটের দিক থেকে একটা মিছিল করে ১০০ জনের মতো হাজরা মোড়ের দিকে আসে। সঙ্গে এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চাকরিপ্রার্থীরাও জড়ো হয়।
সেই সময় পুলিশ সামান্য কিছু ফোর্স নিয়ে ওখানে দাঁড়িয়ে ছিল। হাজরা মোড় ব্যস্ততম জায়গায়। কিছুটা দূরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি। সেখানে আধ ঘন্টার বেশি অবরোধ-বিক্ষোভ চলে। যদিও পুলিশ সবাইকে আটক করে নিয়ে যায়। তার মধ্যে একজন বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে বাবুঘাটে এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীরা যখনই হাওড়ার দিক থেকে নদী পার হয়ে আসে, তখন কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।যেহেতু শিক্ষিতরা আন্দোলন করছে, তাই তাঁরা আন্দোলনের আদল পাল্টে ফেলেন মুহূর্তে।
নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন। তাই আন্দোলনকারীরা ইডেনের সামনের মাঠ থেকে অতি দ্রুত মিছিল করে প্রায় নেতাজি ইন্ডোর সামনাসামনি এসে পৌঁছায়। এক্ষেত্রে পুলিশ গা-ছাড়া দিয়েছিল। যদিও শেষমেশ ম্যানেজ করে পুলিশ।
গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় রাজু দাস নামে একজন গাড়ি থেকে পড়ে যায়। তাঁকে পুলিশ হাসপাতালের দিকে নিয়ে যায়। আশ্চর্যের বিষয়, দুটি ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশের ইন্টেলিজেন্সের ব্যর্থতা দেখা যায়।
আরও পড়ুন- বউ ফিরে পেলেন প্রেমিক স্বামী, ত্রাতা হাইকোর্ট! মেয়ের পরিবারকে ধমক বিচারপতির
কোনও জায়গাতে পুলিশ অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখেনি। যার ফলে অসুস্থদের খুব খারাপ অবস্থাতেই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয়েছিল পুলিশকে। অনেকের প্রশ্ন, ইদানিংকালে প্রতিবাদ সভা ও মিছিল দুটি ক্ষেত্রেই কতিপয় মানুষ এসে শহরকে বিলম্বিত করছে। সেক্ষেত্রে পুলিশ প্রথমে দর্শকের ভূমিকায় থাকছে কেন?