শেষ পর্যন্ত অবশ্য কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতাতেই চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বৈঠক স্থির হয়েছে৷ আগামী ১১ তারিখ কুণালের সঙ্গে সাত জন চাকরিপ্রার্থী শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে গিয়ে নিজেদের চাকরির দাবি জানাবেন৷
এ দিন সকালে প্রথমে মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ জানান এক পুরুষ এবং এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী৷ এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই একে একে রাজনৈতিক দলের নেতারা ধর্মতলায় গান্ধি মূর্তির সামনে আন্দোলনকারীদের মঞ্চে জড়ো হতে থাকেন৷ প্রথমে সেখানে পৌঁছন বিজেপি নেতারা৷ এর পর সেখানে পৌঁছন বিমান বসুর নেতৃত্বে বাম প্রতিনিধি দল৷ পৌঁছন কৌস্তভ বাগচি সহ কংগ্রেস নেতৃত্বও৷
advertisement
এরই মধ্যে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সেখানে পৌঁছলে উত্তেজনা বাড়ে৷ কুণালকে দেখে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি দাবি করেন, কেন সরকারের কোনও প্রতিনিধি সেখানে যাননি৷ বিজেপি কর্মী এবং আন্দোলনকারীদের কয়েকজন চোর চোর স্লোগানও দিতে শুরু করেন৷
এই উত্তেজনার মধ্যেই মঞ্চের নীচে বসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা শুরু করেন কুণাল৷ ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ফোন করেন কুণাল ঘোষ৷ সিদ্ধান্ত হয়, নিজেদের দাবি নিয়ে সোমবার শিক্ষামন্ত্রীর কাছে যাবে আন্দোলনকারীদের সাত জন প্রতিনিধি৷ কুণালের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরাও৷
আরও পড়ুন: ভরসন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকে স্বামীকে খুন, পাশের ঘর থেকে গুলির শব্দ শুনলেন স্ত্রী! নদিয়ায় আতঙ্ক
পরে কুণাল বলেন, ‘এরা যোগ্য, উপযুক্ত৷ কোনও একটি জটিলতার কারণে এদের চাকরি আটকে আছে৷ বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন৷ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী চান ওদের চাকরি হোক৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের সঙ্গে কথা বলে উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷ আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করি৷ অভিষেক, মমতাদি চান জট খুলুক৷ আজকে যখন দেখলাম ওরা চুল বিসর্জন দিচ্ছে, তখন মনে হল ওদের মধ্যে এসে ওদের সঙ্গে বসি৷ আমি সম্পূর্ণ মানবিকতার খাতিরে এখানে এসেছি৷ শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ওঁরা কয়েকটি দাবি নিয়ে যেতে চান৷ ওঁরা মুখোমুখি নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে চায়৷ সোমবার বিকেল ৩টের সময় মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ওদের সঙ্গে কথা বলবেন৷ পাপ কেউ করলে সরকারই প্রায়শ্চিত্ত করবে৷ মুখোমুখি আলোচনা হলে নিশ্চয়ই জট কাটবে৷ আমি এই মঞ্চটাকে রাজনীতির মঞ্চ করতে চাইনি৷ যদি কেউ মনে করেন স্লোগান দিয়ে চাকরি হবে তাহলে করতে পারেন৷ তবে এত অবিচারের পরেও এরা সহযোগিতা করছেন৷ সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ভুল হলে সরকারই প্রায়শ্চিত্ত করবে৷ সেটা ওনারাও জানেন৷’
নিয়োগের দাবিতে গত এক হাজার দিন ধরে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন এসএলএসটি-র নবম-দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা৷ ২০১৬ সালে এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়৷ কিন্তু প্যানেলের তালিকাভুক্ত হয়েও এই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ৷