এ দিনের অনুষ্ঠানে প্রকাশ জাভড়েকরের বক্তব্য চলাকালীনই ঘটনার সূত্রপাত৷ হঠাৎই দেখা যায়, প্রেক্ষাগৃহের ভিতর থেকে কার্যত ধাক্কা দিতে দিতে এক ব্যক্তিকে বাইরে বের করে আনছেন এক বিজেপি কর্মী৷ যে ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের করে আনা হয়, তাঁর নাম সব্যসাচী রায় চৌধুরী৷ তিনি নিজেকে শমীক ভট্টাচার্যের আইনীজীবী বলে পরিচয় দেন৷
advertisement
বাইরে বের করে এনে ওই ব্যক্তিকে কার্যত মারধর করতে শুরু করেন অভিজিৎ নাথ নােম এক বিজেপি নেতা৷ তিনি দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি-র যুব মোর্চার ইনচার্জ৷ এ ছাড়াও দীপ্তষ্য যশ নামে রাজ্য বিজেপি-র ইনটেলেকচুয়াল সেলের কনভেনারও সব্যসাচী রায় চৌধুরীর উপরে চড়াও হন৷
আরও পড়ুন: সঙ্কটে মুখ্যমন্ত্রী সোরেনের বিধায়ক পদ! নিরাপদ ডেরায় বিধায়করা, ঝাড়খণ্ডে নাটক শুরু
অভিজিৎ নাথের অভিযোগ, সব্যসাচী রায় চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তি বিভিন্ন বেকার যুবকের কাছে থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে প্রতারণা করেছেন৷ তাঁর থেকেও সব্যসাচী রায় চৌধুরীর অতীতে টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন অভিজিৎ৷ সব্যসাচী রায় চৌধুরীকে 'তৃণমূলের দালাল' বলেও আক্রমণ করেন তিনি৷ অভিযোগ, এ দিন আইসিসিআর-এ পৌঁছেও সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে নিজেকে সিবিআই অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে গাড়ি রাখেন সব্যসাচী৷
আরও পড়ুন: একশো দিনের ভুয়ো টাকা উদ্ধারে সময় বেঁধে দিল নবান্ন, আরও কড়া নির্দেশ
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায় প্রেক্ষাগৃহের বাইরে৷ অভিযুক্ত সব্যসাচী রায় চৌধুরী যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁকে রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যই আসতে বলেছেন৷ কারণ একটি ওকালতনামায় বিজেপি নেতার সই প্রয়োজন৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ৷ সব্যসাচী রায় চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তারা৷
শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য স্বীকার করেন, পেশায় আইনজীবী সব্যসাচী রায় চৌধুরীকে তিনিই আইসিসিআর-এ আসতে বলেছিলেন৷ এমন কি, অভিজিৎ নাথের মাধ্যমেই তাঁর সঙ্গে সব্যসাচী রায় চৌধুরীর পরিচয় হয় বলে দাবি করেছেন শমীক৷ যদিও সব্যসাচী রায় চৌধুরী নামে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে ওঠা বাকি অভিযোগ সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহল নন বলেই দাবি বিজেপি নেতার৷