প্রায় ৮ বছর পর উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে কেটেছিল জট। ১৪ হাজার ৫২টি পদে নিয়োগে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল হাইকোর্ট। মেধাতালিকা থেকে বাদ ১ হাজার ৪৬৩ যুক্ত করে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করে, সুপারিশপত্র দেবে এসএসসি, এমনই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: মমতা চান না জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে ‘এসমা’ প্রয়োগ করতে! কী এই ‘এসমা’? কী হয় জারি করলে?
advertisement
আরও পড়ুন: মমতা চান না জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে ‘এসমা’ প্রয়োগ করতে! কী এই ‘এসমা’? কী হয় জারি করলে?
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য। পরে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে মেধাতালিকা যখন প্রকাশিত হয়, তাতে ১৪ হাজার ৫২ জনের নাম ছিল। এর পর ২০২১ সালে SSC জানায়, OMR শিটগুলি পুনরায় মূল্যায়ন করে ১ হাজার ৪৬৩ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই বাদ পড়া ১৪৬৩ জন অন্য একাধিক মামলায় যুক্ত হন।
এরপর হাইকোর্ট জানায়, ওই ১ হাজার ৪৬৩ জনকে যে প্রক্রিয়ায় বাদ দেওয়া হয়েছিল, তা ঠিক ছিল না। কারণ ইতিমধ্যেই দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কোথায় কত নম্বর পান তাঁরা, তাঁদের ইন্টারভিউ, কাউন্সেলিং, সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে আগেই। ফলে নতুন করে OMR শিট মূল্যায়ন করে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া সঠিক ছিল না। তাই হাইকোর্ট জানায়, বাদ দেওয়া ১ হাজার ৪৬৩ জনকে যুক্ত করে ওই ১৪ হাজার ৫২ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে SSC-কে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। পরের চার সপ্তাহে কাউন্সেলিংয়ের কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ কাউন্সেলিং ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ফের সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল SLP।