advertisement
বৃহস্পতিবার ট্যুইটারে তথাগত রায় লেখেন, ''বিজেপির শুভানুধ্যায়ীরা বলছেন, টাকা ও নারী নিয়ে আমার অভিযোগ প্রকাশ্যে নয়, দলের ভিতরে করা উচিত। আমি সবিনয়ে জানাই, সে সময় পেরিয়ে গেছে। বিজেপি আমাকে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। কিন্তু নিজেদের চালচলন যদি আমূল সংস্কার না করে তা হলে পশ্চিমবঙ্গে দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী।''
একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের পর দিন দুই আগেই ট্যুইটার ও ফেসবুকে নিজের 'বায়ো'তে বদল এনেছেন তথাগত। ট্যুইটে তিনি লিখলেন, '''সাধারণ একটি তথ্য: আমার প্রোফাইলের বিবরণীতে একটা ছোট্ট বদল করা হয়েছে। এতদিন যেখানে 'ছবিতে দেখা যাচ্ছে আইকনিক রবীন্দ্র সেতু' লেখা ছিল, সেখানেই এখন 'সম্প্রতি হুইসেলব্লোয়ার' লেখা হয়েছে।''তারপরই আরও একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, 'আমি 'বিজেপি' শব্দটিও লিখেছি যাতে লোকে অন্য কোনও কিছু না ভেবে বসে।' শুধু ট্যুইটার নয়, ফেসবুকেও একই বদল করেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: আচমকা 'বায়ো'তে পরিবর্তন, বড় বিস্ফোরণের ইঙ্গিত তথাগত রায়ের! না কি দলত্যাগ?
একের পর এক আক্রমণের জবাবে তথাগতকে দল ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় 'বায়ো' পরিবর্তন করতেই তথাগত রায়কে নিয়ে জল্পনা ছড়ায়, তাহলে কি দল ছাড়ছেন তিনি? কিন্তু সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বরং নিজেকে দলের একজন কর্মী হিসেবে দেখিয়েছেন তিনি। দিলীপের পাশে দাঁড়িয়ে তথাগতকে দলের সাধারণ কর্মী বলে অভিহিত করেছেন বিজেপি-র বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তা সত্ত্বেও তথাগত রায়ের থামার কোনও লক্ষ্মণ নেই। বরং বিজেপির নির্দিষ্ট একটি অংশের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েই চলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় শোরগোল ফেললেন দিলীপ ঘোষ! সব নজর ঘুরে গেল ফিরহাদ-মলয়ের ঘরের দিকে
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই তথাগত রায়ের নিশানায় রয়েছেন রাজ্য নেতাদের একাংশ। নিত্যদিনই রাজ্য বিজেপি নেতা বিশেষত দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের নিশানা করে চলেছেন তথাগত। এবার সেই বিস্ফোরণ আরও কয়েক কদম এগোনোর ইঙ্গিতই দিলেন রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়।