ইডি-র কাছে জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই তৃণমূল যুবনেতা তথা বিএড কলেজের মালিক কুন্তল ঘোষের নাম সামনে আনেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। এরপরেই কুন্তলকে ডেকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্য়থার গোয়েন্দারা। কদিন আগে কুন্তলের ২ ফ্ল্যাটে রাতভর তল্লাশি চালানোর শেষে অবশেষে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
advertisement
সূত্রের খবর, গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে কুন্তল ঘোষের বয়ানে। তাপস মণ্ডল নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছেন ধৃত যুবনেতা। জেরা পর্বে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ইডি অফিসারদের 'সেটিং' করতে হবে এই মর্মে লক্ষাধিক টাকা কুন্তলের কাছে দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল। ১৫ অক্টোবর যখন তাপসের অফিস ও বাড়িতে ইডি অভিযান চালাচ্ছিল, ওই দিনও কুন্তলকে ফোন করে টাকা দাবি করেছিলেন তাপস।
কুন্তল ইডি অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন, ১৫ অক্টোবর ফোন করে তাঁকে বলা হয়েছিল ইডি তল্লাশি চালাচ্ছে, তাদের সেটিং করতে টাকা দিতে হবে। সেই বাবদ তাপস টাকার দাবি করেন কুন্তলের কাছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুন্তল যে তথ্যপ্রমাণ দিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে ১৫ অক্টোবর দুপুরে অনলাইনে কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে তাপসের অ্যাকাউন্টে টাকা এসেছে। যদিও মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে এই কথা তাপস এড়িয়ে গিয়েছেন বলে ইডির অভিযোগ।
ইডি সূত্রে খবর, তাপস কেন ১৫ অক্টোবর টাকা চেয়েছিলেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে তাপস ও কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মারফত যে লেনদেন হয়েছিল তার সবটাই এখন ইডির নজরে।
ইডি সূত্রে খবর, তদন্তের বিষয়াধীন একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। কুন্তল ও তাপসের বয়ানে ধরা পড়ছে একাধিক অসঙ্গতি। এমনকি, তাদের সামনাসামনি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেও মেলেনি উত্তর। তাই বুধবারও তলব করা হয়েছে তাপসকে।
শুধু তাপস নন, এদিন ডেকে পাঠানো হয়েছে কুন্তল ঘনিষ্ট শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। ইডি সূত্রের দাবি, শুক্রবার তাঁর বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় একাধিক নথির মধ্যে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর অ্যাডমিট কার্ডের জেরক্স কপি মিলেছে। কেন সেগুলো তাঁর কাছে ছিল, সে উত্তর মেলেনি। সবটা জানতেই তাঁকে ফের তলব করল ইডি। বুধবার তাপস-কুন্তল ও শান্তনুকে আলাদা আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই সূত্রের খবর।