একদল মধ্যবয়সী পুজো কর্তা সামাজিক দুরত্ব মেনে পাড়ায় এলেন, চাঁদা নিতে নয়৷ কর্তাদের সামনে ভ্যান আর তার উপর নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। এলাকার প্রতিটি বাড়িতে প্রয়োজন বুঝে পৌঁছে দিলেন চাল-ডাল-আলু-পিঁয়াজ-তেল। লকডাউনের শহরে এখন মাস্ক বাধ্যতামূলক, মাস্ক না থাকলে সংক্রমণ তো দূরে থাক পুলিশ আগে দৌড়ে যাচ্ছে টালায়। রোজের মত এলাকায় বাজার না এলেও সামান্য বাজার করতে আসা প্রতিবেশীদের মাস্ক ছাড়া দেখা যায় এদিক-ওদিক। খাদ্য সামগ্রীর সঙ্গে মাস্ক ও স্যানিটাইজারও দিল পুজো কমিটি।
advertisement
বাড়ির বেল বাজিয়ে তারা বলে উঠলেন " দাদু এবার নিতে নয়, দিতে এসেছি নিয়ে যান।" সবাই হাসি মুখে গ্রহণ করলেও অনেকেই চাঁদা কথা মনে করে দিল টালা বারোয়ারীর কর্তাদের। যা তাদের কাছেও লকডাউনের মতই অপ্রত্যাশিত। পুজোর কর্তা অভিষেক ভাট্টাচার্য জানালেন, বাড়ির বাজার করাটা কর্তব্য, এটা বাড়ির বাজার সবাই একটাই পরিবার। পুজোর মারামারি থাকুক, পাশের পাড়াতেও যাব দিতে।