সাম্প্রতিক কালে আদানি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা একাধিকবার রামনগরের তাজপুরে এসে সরাসরি প্রস্তাবিত বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেছেন। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর কর্তাদের। অবশেষে খুশির খবর দিল রাজ্য সরকারই। তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করবে আদানি গোষ্ঠী।
আরও পড়ুন: ২ বছরের অপেক্ষা শেষ! মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই বৃহস্পতিবার শুভ উদ্বোধন টালা ব্রিজের
advertisement
রাজ্য সরকার আশাবাদী সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তাই এখন শুধু অপেক্ষা। কলকাতার বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে এসে আগামী ১০ বছরে পশ্চিমবঙ্গে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন আদানি গোষ্ঠী কর্ণধার গৌতম আদানি। তবে তাঁকে তাজপুর বন্দর নিয়ে আলাদা করে কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে জানিয়েছিলেন, তাজপুরে দ্রুত বন্দর তৈরি করা হবে। সে বিষয়ে সমস্ত প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে দিঘার শিল্প সম্মেলন থেকে তাজপুর বন্দরের প্রকল্প অফিস উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের হাতে তখন তাজপুর বন্দরের ২৬ শতাংশ শেয়ার এবং কলকাতা বন্দরের হাতে বাকি ৭৪ শতাংশ শেয়ার ছিল। পরে অবশ্য একক ভাবেই তাজপুরে বন্দর গড়ে তোলার বলে সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
পরপর দু'দফায় বন্দর গড়তে চেয়ে আগ্রহী সংস্থার কাছ থেকে দরপত্র চায় তারা। ওই আগ্রহপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩১ জানুয়ারি। প্রশাসন সূত্রের খবর, অনেক সংস্থা তাজপুরের বন্দর গড়তে চেয়ে ওই সময়ের মধ্যে আগ্রহ পত্র জমা দিয়েছেন।স্থানীয় সূত্রের খবর, মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভর তাজপুরের অর্থনীতি। বন্দর হলে এলাকার অর্থনীতি ভাল হবে আশাবাদী সেখানকার হোটেল মালিকদের সংগঠন।
তাজপুর নিয়ে আশার আলো দেখছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনিও বলছেন, ‘‘তাজপুরের বন্দর গড়তে চেয়ে অনেক সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে বলে শুনেছিলাম। অবশেষে আদানি গোষ্ঠী সেই বন্দর তৈরি করতে চলেছে।" তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ব্যাপারে রাজ্যের শাসক দল, এলাকাবাসী আশায় বুক বাঁধছেন।