ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্ব পাওয়ার পর বুধবার রাতে ফুরফুরা শরিফে পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীর সঙ্গে ফুরফুরা শরীফে দেখা করতে যান হুগলির সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। কিছু পরেই সেখানে যান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ঘন্টা খানেক থাকার পর দুজনেই বেরিয়ে যান। অন্য কোনো পিরজাদাদের কাছে উভয়েই যাননি। এমনকি নওশাদ সিদ্দিকীর সাথে দেখা করলেন না দুজনেই।তপন দাশগুপ্ত উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্ব পাওয়ায় আমরা খুশি বলে মন্তব্য করেছেন ত্বহা সিদ্দিকী।
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রত দিল্লিতে, বীরভূমের জন্য এবার মদন মিত্র? দলের কাছে বিরাট প্রস্তাব কামারহাটির বিধায়কের
তিনি জানিয়েছেন, ''আমরা চাই প্রকৃত উন্নয়ন হোক ফুরফুরা শরীফে। প্রচুর অসমাপ্ত কাজ বাকি রয়েছে, সেটা তাড়াতাড়ি শেষ করা হোক।পাশাপাশি ফিরহাদ হাকিম বলেন, ফুরফুরা থেকেকলকাতার দূরত্ব অনেক বেশি। আমার উপর অনেক কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ঠিক করে দিয়েছেন জেলায় সব চাইতে সিনিয়র ও অভিজ্ঞ বিধায়ক। তাই তপন দাশগুপ্তকে দায়িত্ব দিয়েছেন।''
আরও পড়ুন: ফের টাকার পাহাড় উদ্ধার বাংলায়! সামনে কল সেন্টার, আর ভিতরে কোটি-কোটি টাকা! কার টাকা?
তপন দাশগুপ্ত এদিন জানিয়েছেন, ‘‘দায়িত্ব পাওয়ার পর বুধবারই প্রথম ফুরফুরায় এলাম। প্রথমে ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করলাম। এর পর সব পীরজাদার সঙ্গেই দেখা হবে। কথা হবে। ফুরফুরার উন্নয়ন নিয়ে আমার উত্তরসূরি ফিরহাদ হাকিম কাজ করেছেন। আমি বলব না সবটাই হয়েছে। তবে অনেক কাজ হয়েছে। ফুরফুরা পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। সব ধর্মের মানুষ এখানে আসেন।’’ দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সকলকে নিয়ে চলতে চান। ফুরফুরা শরীফের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা আছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সেই জায়গা পছন্দ করেন।