তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওয়েবসাইটটি প্রথমে হ্যাক করা হয়। তারপর যখন,স্কুল কর্তৃপক্ষ তথ্য আপলোড করছিলেন, সেই সময়ই হ্যাকার বা প্রতারকরা রিয়েল টাইমে অর্থাৎ সেই মুহূর্তেই তথ্য বদলে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: ২০ বছর পর ফের বন্ধ থাকবে হাওড়া ব্রিজ! চলবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা! কবে বন্ধ থাকবে?
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছেই তথ্য আপলোড ও এডিট করার একমাত্র অ্যাকসেস থাকে। তারা আপলোড করার পর সেটি লক হয়ে যায়। তারপর এসআই সেই তথ্য স্ক্রুটিনি করে ডিআই এর কাছে পাঠানো হয়। এসআই বা ডিআই তথ্য এডিট করতে পারেন না। তাই এক্ষেত্রে পুলিশ মনে করছে যদি হ্যাক হয়ে থাকে তাহলে স্কুল লেভেলে তথ্য আপলোড করার সময় আনঅথারাইজড অ্যাকসেস হয়ে থাকতে পারে। অর্থাৎ ওই সময় প্রতারকরা তথ্য বদলে দিয়ে থাকতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘রাফ অ্যান্ড টাফ ভূমিকা নেবে সরকার’, ট্যাব দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, ট্যাবের টাকা গায়েবের ঘটনায় উঠেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ট্যাবের টাকা গায়েব হয়েছে এই সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা ১৫০০ এরও বেশি। গোটা রাজ্য থেকে ১৫০০ এরও বেশি অভিযোগ স্কুল শিক্ষা দফতরে। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৮০০ এর মতো অভিযোগের সত্যতা পেল স্কুল শিক্ষা দফতর। অর্থাৎ প্রায় ৮০০ পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা গায়েব হয়েছে বলে সত্যতা পেয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। বাকি ৭০০ টি অভিযোগেরও সত্যতা রয়েছে ট্যাব এর টাকা গায়েবের? স্ক্রুটিনি করছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
রাজ্যের একাধিক জেলায় ট্যাবের টাকা গায়েবের জেরে এবার “অ্যাকাউন্ট ভ্যালিডেশন” করেই টাকা পাঠানো হবে, এমনই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ টাকা পাঠানোর আগে অ্যাকাউন্ট নম্বর ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম অ্যাকাউন্ট আছে কি না, তা যাচাই করা হবে। ব্যাঙ্ক এবং অর্থ দফতরের আধিকারিকরাই যাচাই করবেন। তারপরেই ট্রেজারির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হবে। তরুণের স্বপ্ন, কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, জয় জোহারের মতো প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে নবান্ন।