তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক দফায় লক্ষ লক্ষ টাকা শ্বেতার অ্যকাউন্টে গিয়েছে৷ এ দিন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন শ্বেতা৷ তিনি দাবি করেছেন, চুঁচুড়ায় অয়নের থেকে তিনি একটি ফ্ল্যাট কেনার জন্য চুক্তি করেছিলেন৷ সেই ফ্ল্যাটের দাম বাবদ তিনি অয়নকে টাকাও দিয়েছিলেন৷ শ্বেতার দাবি, আমি ওনার থেকে ফ্ল্যাট কিনেছিলাম৷ টাকা দিয়েছিলাম৷ সেই ফ্ল্যাট পরবর্তী সময়ে আমি রেজিস্ট্রি করিনি৷ সেই ফ্ল্যাট ছেড়ে দিয়েছি৷ সেই টাকাই উনি ফেরত দিয়েছেন৷ সব কাগজ আমার কাছে আছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: রুচল না তিহাড়ের রুটি, ওষুধ নিয়েও সমস্যা! প্রথম রাতেই বেকায়দায় কেষ্ট
সল্টলেকে অয়ন শীলের অফিসে শ্বেতা চক্রবর্তীর গাড়ির নথিও ইডি পায় বলে খবর৷ যদিও শ্বেতার দাবি, তিনি অয়ন শীলের প্রোডাকশন হাউজের হয়ে কবাডি কবাডি সিনেমা এবং একটি শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন৷ তারই পারিশ্রমিক বাবদ অয়ন তাঁকে হন্ডা সিটি-র মতো দামি গাড়ি চড়তে দিয়েছিলেন৷ শ্বেতা বলেন, 'গাড়িটা উনি আমাকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন৷ গাড়িটা পারিশ্রমিক বাবদ ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন৷ কারণ সিনেমার শ্যুটিংয়ের জন্য আমার এদিক ওদিক যেতে হত৷'
আরও পড়ুন:'পালিয়ে যাও, ইডি আসছে!' অয়নের মোবাইলে মেসেজ পাঠানো রহস্যময়ী কে? শুরু খোঁজ
শ্বেতার দাবি, সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অয়ন শীলের সঙ্গে মৌখিক চুক্তি হয়েছিল তাঁর৷ শ্বেতা দাবি করেছেন, ২০১৭ সাল থেকে অয়ন শীলের সঙ্গে পরিচয় তাঁর৷ পঞ্চায়েতের অফিসে কাজ করতে গিয়েই দু জনের আলাপ৷
অয়নের স্ত্রীকেও তিনি চেনেন বলে জানিয়েছেন শ্বেতা৷ যদিও তাঁর দাবি, অয়ন তাঁকে ৫৫ লক্ষ টাকা দেননি৷ তার তুলনায় অনেক কম টাকা দিয়েছেন৷ পুরোটাই ফ্ল্যাটের দাম বাবদ তিনি অয়নকে দিয়েছিলেন৷ শ্বেতা জানিয়েছেন,সমস্ত নথিই তাঁর কাছে আছে৷ ইডি ডাকলেই হাজিরা দেবেন তিনি৷