প্রায় ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে খালি পড়ে ছিল রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনারের পদ। এই বছরে ওই পদের জন্য ১৫টি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ৫ জনের আবেদন তাঁদের বয়সের কারণে বাতিল করা হয়। বাকি ১০ জনের প্রার্থী তালিকা থেকে প্রাক্তন ডিজিপি বীরেন্দ্রকে রাজ্যের তথ্য কমিশনের হিসাবে আজ নির্বাচন করা হল আজ।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীকে সোনার ডিম দেওয়া হাঁসের সঙ্গে তুলনা! ফের বিতর্কে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
আজ, বুধবার বিধানসভায় অধ্যক্ষ্যের ঘরে, বেলা ১২টা এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বিরোধী দলনেতা বৈঠক বয়কট করায় স্পিকারের দফতরের বদলে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেই এই বৈঠক হয়। নির্ধারিত সময়ের আগেই ট্যুইট করে ওই বৈঠক বয়কট করার কথা জানিয়ে দেন শুভেন্দু।
প্রথা অনুযায়ী, রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার নির্বাচন ও নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটিতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী, পরিষদীয় মন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা। সেই প্রথা অনুযায়ী, বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারি, রাজ্য সরকারের তরফে অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারিকে সরকারি ভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এদিন বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কারণ জানিয়ে ট্যুইট করার পাশাপাশি, গোপালিকাকেও চিঠি পাঠান শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: সাংসদ হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন বলেই ছাঁটা হয়েছিল ডানা, আবারও বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর
চিঠিতে শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন, মুখ্য তথ্য কমিশনার নির্বাচন ও নিয়োগের জন্য আবেদন চেয়ে সরকারের দেওয়া বিজ্ঞাপন নিয়ম মেনে করা হয়নি। সেই কারণেই, তাঁর আশঙ্কা, কোনও পূর্ব নির্ধারিত প্রার্থীকেই ওই পদে বসাতে চলেছে রাজ্য। তাই, এদিনের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না তিনি।
গত বছর জুন মাসে রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার হিসাবে বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে এই পদ শূন্য ছিল। কমিশনের সদস্য রাজ কানোজিয়া ও নবীন প্রকাশরা কমিশনের কাজ চালচ্ছিলেন। আজ মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ায় শূন্যপদের সমস্যা আপাতত কাটল। তবে, এই নির্বাচন ও নিয়োগের বিরোধিতা করে বিরোধী দলনেতার বৈঠক বাতিল করায় নির্বাচন ও নিয়োগের বিষয়টি মসৃণ হল না।
২০২১-এর নির্বাচনে বিপুল ভোটে জেতার পর, শাসক ও বিরোধী বিজেপির মধ্যে সমন্বয়ের চূড়ান্ত অভাব দেখা গিয়েছে। সম্ভবত, সে কথা মাথায় রেখেই লোকায়ূক্ত, মানবাধিকার কমিশনের,তথ্য কমিশনারের মত সাংবিধানিক পদের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ভাবছে রাজ্য। সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি অধিবেশনেই এই লক্ষ্যে বিল আনতে পারে রাজ্য সরকার।