তবে শুনানি পিছোনোর কারণ শুভেন্দু অধিকারীর করা একটি আবেদন। আদালতে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী জয়দীপ কর এবং বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা স্থানান্তরের আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদনের নিষ্পত্তি শীর্ষ আদালতে না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টে পিছিয়ে দেওয়া হোক শুনানি। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম মামলা ছাড়ার জন্য বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে আবেদন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আবেদনের নিষ্পত্তি করতে গিয়ে একাধিক পর্যবেক্ষণ রাখেন বিচারপতি। বিচারের নামে একদল সুযোগসন্ধানীর আগমন নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ রাখেন বিচারপতি চন্দ। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে ট্রান্সফার পিটিশন ফাইল করেন শুভেন্দু অধিকারী। যুক্তি হিসেবে দেখান, হাইকোর্টের কোনও বেঞ্চেই নন্দীগ্রাম মামলার নিরপেক্ষ বিচার হবে না। যেভাবে একদল আইনজীবী হাইকোর্ট চত্বরে নন্দীগ্রাম ইলেকশন পিটিশন নিয়ে সরব হন তারও উল্লেখ করা হয় সুপ্রিম কোর্টে শুভেন্দু অধিকারী আবেদনে। শুভেন্দু অধিকারী আবেদন মেনে হাইকোর্ট ৩ মাস পরে রাখে নন্দীগ্রাম শুনানি৷ তবে সুপ্রিম কোর্টে শুভেন্দু অধিকারীর আবেদনের নিষ্পত্তি হতে কোনও আইনি অসুুবিধা নেই বলেও এদিন জানান বিচারপতি শম্পা সরকার।
advertisement
পাশাপাশি জরিমানা নির্দেশ সংক্রান্ত বিষয়ে মামলাকারীকে নির্দেশ দিয়েছেন হলফনামা দেওয়ার। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিককে মামলার হার্ড কপি ও জুলাই মাসের নির্দেশের কপি দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয় এদিন।নন্দীগ্রাম বিধানসভার ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মামলা হাইকোর্টের কোন বেঞ্চে শুনানি হবে তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। প্রথমে মামলাটি যায় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বেঞ্চে। এরপর তা যায় বিচারপতি কৌশিক চন্দ বেঞ্চে। তারপর বিচারপতি শম্পা সরকার বেঞ্চে।