ইলিশের গাড়িকে আটক করে তোলা না পাওয়ার জন্য কী ভাবে সেই গাড়ি ভর্তি ইলিশ বিক্রি করে দিচ্ছে পুলিশ, সেই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর একটি ভিডিও ঘিরে রীতিমত তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এদিন শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন।
আরও পড়ুন: ভারতে আগে ‘১০টা’ বাজে নাকি পাকিস্তানে…? ‘অধিকাংশই চুলকোচ্ছেন মাথা, আপনি বলুন তো?
advertisement
বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ডায়মন্ডহারবারের মাছের আড়ৎ থেকে যে সমস্ত ছোট ছোট মাছ ব্যবসায়ীরা ইলিশ মাছ কিনতে যান, তাদের গাড়ি থেকে প্রচুর টাকা তুলতে শুরু করেছিল পুলিশ। সেক্ষেত্রে যদি কোনও মাছ ব্যবসায়ী টাকা দিতে না পারেন, তাহলে তাদের গাড়ি আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন তিনি। আর সেই অভিযোগের মাঝেই শুভেন্দুবাবু দাবি করেন যে, মগরাহাট থানার পুলিশের একজন আধিকারিক সৈকত রায় একটি ইলিশ মাছ ভর্তি গাড়ি ধরেছিলেন। যেখানে গাড়িচালকরা তাকে তোলা দিতে না পারার জন্য সেই গাড়ি দিনভর আটক করে রাখা হয়। পরে সেই পুলিশ আধিকারিক নিজেই সেই মাছ ভর্তি গাড়ি নিয়ে তা বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করলে হাতে নাতে ধরে ফেলেন মাছ ব্যবসায়ী।
সেই সময় মাছ ব্যবসায়ীরা সেই পুলিশ আধিকারিককে ঘিরে চোর, চোর স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গোটা ঘটনা পরম্পরা উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী নিজের পোস্টে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। তার দাবি, “এবার তোলাবাজির অর্থ দিতে সক্ষম না হলে গাড়িতে থাকা মাল চুরি করে বিক্রি করে দিচ্ছে। এটাই ডায়মন্ডহারবার মডেল।”
শুভেন্দুর কথায়, “এই সরকারকে তাড়াতেই হবে। নচেৎ বাংলার জনগণকে আরও কী কী যে দেখতে হবে, তা ঈশ্বরই জানেন।” বিজেপির দাবি, মৎস্য ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে যেভাবে এক পুলিশ আধিকারিক পড়লেন, তাতে পুলিশের মান সম্মান আরও মাটিতে মিশে গেল। যে ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে এত গর্ব করেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা, এখন সেই ডায়মন্ড হারবারে কীভাবে পুলিশের তোলাবাজি চলছে যা সাধারণ মৎস্য ব্যবসায়ীদের সহ্য করতে হচ্ছে, তার পর্দা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় কি বলবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।