ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী সহ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব শাসক দলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এ রাজ্যে যেভাবেই হোক এসআইআর কার্যকর হবে। শুধু তাই নয়, নো এসআইআর, নো ইলেকশন স্লোগানও তুলতে শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। শাসকের উপর চাপ বাড়িয়ে বারংবার এসআইআর সংক্রান্ত প্রচারে জোর দিচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে শাসকদলের সাফ কথা, বাংলায় তারা এসআইআর হতে দেবে না।
advertisement
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, রাজ্যে এসআইআর হলে ১০ লক্ষ লোক নিয়ে কমিশন ঘেরাও করা হবে। উল্টোদিকে বিজেপির কাছে স্বাভাবিক নিয়মেই এসআইআর হয়ে উঠেছে ডিভিডেন্ডের জায়গা। তাদের প্রত্যাশা, ভোটার তালিকা থেকে বেনো জল দূর করতে এটাই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। সুতরাং এটাই যে ‘শেষ সুযোগ’ তা দলের নেতা-কর্মীদের বুঝিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আর তার ঠিক একদিনের মাথায় শনিবার বিজেপির এসআইআর প্রস্তুতি নিয়ে বুথ স্তরের এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিরোধী দলনেতা। সল্টলেক অফিসেই হয় রুদ্ধদ্বার বৈঠক। এসেছিলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, শিশির বাজোরিয়ার মতো বিজেপি নেতারা। এছাড়াও, ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৭০০ জন নেতা-কর্মী।
সূত্রের খবর, জেলাস্তরের নেতা-কর্মীদের আগামী ৫ থেকে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বুথ সংক্রান্ত রিপোর্ট রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। সেই ভিত্তিতেই ৮ তারিখ রিপোর্ট পাঠানো হবে কমিশনের কাছে। এই বৈঠক থেকে শুভেন্দু নেতা-কর্মীদের বুঝিয়ে দিয়েছেন যে কাজে মন দিতে হবে। কারণ, ভোটার তালিকা থেকে বেনো জল দূর করা এবং পরবর্তীতে স্বচ্ছ তালিকার ভিত্তিতে হওয়া নির্বাচনে জয় লাভের এটাই শেষ সুযোগ। এসআইআর অস্ত্র প্রয়োগ করে ছাব্বিশের নির্বাচনে বিজেপি কতটা সুফল পায়, তা অবশ্য সময়ই বলবে৷