আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং ‘SIR’ ইস্যুতে শাসকদলকে নিশানা করার পর এবার তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর থেকেই হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন। শুভেন্দু অধিকারী বুধবার হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “হারাব, হারাব। ২০ হাজারে হারাব। ভবানীপুরে SIR-এর পরে হারাব ওঁকে। বিজেপি হারাবে। যে দাঁড়াবে, সে হারাবে। নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরেও হারাব। প্রাক্তন করব। আপনার ভাইপোকে জেলে পাঠাব।”
advertisement
শুভেন্দুর দাবি, ভবানীপুরের ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে বিজেপির লিড রয়েছে। শুভেন্দুর এই চ্যালেঞ্জের আগেই অবশ্য তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগামী নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী কার্যত ঘোষণা করেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হতে চলেছেন। প্রচুর ভোটে তাঁকে জেতাতে হবে।”
২০২১ সালের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হওয়ার পর উপনির্বাচনে ভবানীপুর থেকে জিতে আসেন। এবার ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে ভবানীপুর নিয়ে সরাসরি এই চ্যালেঞ্জ রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করল। অঙ্ক করে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিয়েছেন, মাত্র ৪৬ লক্ষ ভোট বাড়াতে পারলেই তারা ২০২৬ সরকার গড়বে। আর সেই ৪৬ লক্ষ ভোট বাড়ার সূত্রও তিনি বলে দিয়েছেন।
অন্য এক সভায় শুভেন্দু বলেন,’নন্দীগ্রামে মমতাকে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাব।’ আর তখনই আলোচনা শুরু হয়ে যায় তাহলে কি ভবানীপুরে এবার শুভেন্দু প্রার্থী হচ্ছেন? এ ধরনের জল্পনা যদিও আগেও উসকে দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বেশ কয়েকদিন আগে বিধানসভার বাইরে তার মন্তব্য থেকেই জল্পনা ওঠে শুভেন্দু অধিকারী কি তবে ভবানীপুরের ভোটে লড়ছেন। যদিও সে জল্পনার নিজেই অবসান ঘটান তিনি। যদিও বুধবারের শুভেন্দুর মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে ফের ভবানীপুর কেন্দ্রকে ঘিরে তরজা আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।