পাশাপাশি মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সুর চড়িয়ে শুভেন্দু এও বলেন,' দেনার দায়ে ডুবে রয়েছে সরকার। উন্নয়নমূলক কাজে নজর না দিয়ে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা স্রেফ রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে। অথচ নিজের সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য টাকা মেটাচ্ছে না'। সম্প্রতি এক রাজনৈতিক সভামঞ্চ থেকে সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী সরকারি কর্মীদের আশ্বস্ত করে ঘোষণা করেছিলেন যে,' বিজেপি সরকারে আসার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি কর্মীদের নির্দিষ্ট মাসিক বেতনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সমস্ত বকেয়া ডিএএকসঙ্গে মিটিয়ে দেওয়া হবে'।
advertisement
আরও পড়ুন : শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কুণালের মামলা, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের! স্বস্তি বিরোধী দলনেতার
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 'ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য গিয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ হবে। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাই না, তবে আইন বিচার ব্যবস্থার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। সবকিছু খতিয়ে দেখে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সঠিক রায়ই দেবে'। পাশাপাশি ভিন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটানো প্রসঙ্গেও শুভেন্দু অধিকারীর দাবি,' অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার আপটুডেট ডিএ মিটিয়ে দিয়েছে। এমনকী উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকারও দীপাবলির আগেই সরকারি কর্মচারীদের অতিরিক্ত চার শতাংশ ডিএ দিয়েছে। কিন্তু মমতা সরকার ডিএ নিয়ে শুধু টালবাহানা করছে। সময় নষ্ট করছে'।
আরও পড়ুন : ডায়মন্ড হারবারে বিজয়া সম্মিলনীতে অভিষেক! 'এক ডাকে অভিষেক' নিয়ে নিলেন খোঁজ
বলাবাহুল্য , কেন্দ্রীয় হারে কি ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা? আইনি লড়াই জারি । হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে। ডিএ মামলায় রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৩ মাসের মধ্যে কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। সেই নির্দেশকে এবার চ্যালেঞ্জ করেই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ। যা নিয়েই রাজ্য সরকার তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।