বিধানসভার ভিতরে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। পরে বিধানসভার বাইরে এসেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বাকি বিজেপি বিধায়করা।
এদিন বিধানসভার বাইরে এসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আমরা আজকে একটা মুলতুবির প্রস্তাব দিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পুরো মন্ত্রিসভা অযোগ্যদের চাকরির সুপারিশ করে হাইকোর্টে পাঠিয়েছিল। মন্ত্রিসভার দায়বদ্ধতা থাকে বিধানসভার কাছে। আমাদের বলা হল বিচারাধীন বিষয়, পড়তে দেওয়া হবে না। আমি নিশ্চিত এটা বড় দুর্নীতি। একটা মন্ত্রিসভা মেধাদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের সুপারিশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী সহ ৪০ জন মন্ত্রীর জেলে যাওয়া উচিত।"
advertisement
আরও পড়ুন, দিনকয়েকের মধ্যেই কনকনে ঠান্ডা কলকাতায়, জেনে নিন হিমেল বাতাস ও বৃষ্টির পূর্বাভাসও
শুভেন্দু আরও বলেন, "মন্ত্রিসভা সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট চেপে ধরেছে। এই অযোগ্যদের নিয়োগের সুপারিশ কারা করল? পুরো মন্ত্রিসভার গ্রেফতার এবং জেল চাই।"
আরও পড়ুন, বড়লোক হওয়ার শখ! ইউটিউব দেখে এটিএম লুটের চেষ্টা, কোচবিহারে ধৃত ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র
পাশাপাশি মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ককে তোপ দেগে শুভেন্দু এদিন বলেন, "গতকাল মানিকচকের বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন তাঁরা নাকি মহিলাদের বস্ত্রহরণ করেন। আগামীকাল মহিলা বিধায়করা আগামীকাল এ বিষয়ে নিন্দাপ্রস্তাব আনবেন। সেই সঙ্গে আমরা এই গোটা মন্ত্রিসভার জেল চাই।" তবে শুধু এদিন নয়, শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই একাধিক ইস্যুতে উত্তপ্ত থেকেছে রাজ্য বিধানসভা।
বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শুভেন্দু অধিকারীকে ভাবতে হবে উনি বিরোধী দলনেতা। ওঁনার পদের একটা গুরুত্ব রয়েছে। উনি যা করছেন, বা যা বলছেন, তাতে ওনার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায় না। সংসদীয় রাজনীতিতে তিনি অনভিজ্ঞ। ওঁনার দলকে বলব, শুধু মাত্র খবরে থাকার জন্য যদি কেউ পদ আঁকড়ে ধরে থাকেন, তাহলে আপনারাও ভেবে দেখুন। উনিও ভেবে দেখুন।"