সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু এও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উচিত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সবসময় ঝগড়া না করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে কাজ করা। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্টিকার রাজনীতি বিজেপি বাংলার মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।’’ শেষমেষ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়েছে রাজ্য যে আর নাম পরিবর্তন করা হবে না বলেও এদিন দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। ‘‘উন্নয়নমূলক কাজে যেখানে কেন্দ্র এবং রাজ্যের যৌথ প্রকল্প আছে সেখানে দু’জনেই স্বীকৃতি পাক, এটাই আমরা চাই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বেশিরভাগ বরাদ্দের টাকায় উন্নয়নমূলক কাজে নিজের কৃতিত্ব জাহির করবেন এটা হতে পারে না। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় যে প্রকল্প তা কেন্দ্রের নামে হোক। আর রাজ্যের যে প্রকল্প তা রাজ্যের নামে হোক। আমরা চাই প্রকল্পের অরিজিনাল স্টিকার ব্যবহার করুক রাজ্য সরকার।’’ বললেন শুভেন্দু অধিকারী।
advertisement
প্রসঙ্গত, সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান ফিরহাদ হাকিম। এদিন জিএসটি, কর-সহ একাধিক বিষয়ে তোপ দাগেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "বিরোধী দলনেতা দু'দিন আগে টাকা আটকানোর মন্তব্য করলেন। স্টিকার পলিটিক্সের কথা বললেন। আমার ও বাংলার মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রীর নামটা গুরুত্বপূর্ণ না বাংলার গুরুত্বপূর্ণ?’’ তিনি আরও বলেন, "বাংলাকে যে স্কিমে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটা আসলে বাংলার মানুষের করের টাকা। গুজরাতের টাকা দিচ্ছে না। ৪৪,৬৩৮ কোটি টাকা ২০১৮-১৯ সালে কেন্দ্র নিয়ে গেছে। এই টাকার একটা অংশ তিনি দিচ্ছেন। আমাদের করদাতা ৫৬ হাজার কোটির কাছাকাছি। এ ছাড়া এক্সাইজ, সেস, কাস্টমস ডিউটি আছে। কয়েক লক্ষ কোটি টাকা এরা নিয়ে যান।’’
আরও পড়ুন-কলকাতায় এক টুকরো কাতার, মেসি, নেইমার, রোনাল্ডোদের সঙ্গে পাটুলিতে গেলেই দেখা হয়ে যাবে
ফিরহাদ হাকিমের দাবি, ‘‘জিএসটি ৫০,১৭৪ কোটি শুধু এই বছর নিয়ে গেছে। আমাদের টাকা তারপরেও দিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, আরবানে কেন্দ্র দেয় ৪৩%। ৫৭% টাকা বাংলার মানুষ দেয়৷ আমি ৪৩% টাকার জন্য কেন্দ্রের নাম দেব? আসলে ওরা বাংলা ভাগে বিশ্বাস করে। গ্রামীণ এলাকায় ওরা ৪০% দেয়, আমরা ৬০%। কলকাতা শহরে মাত্র ২৫% দেয়। আমরা ৭৫% দিই। স্বচ্ছ ভারত মিশনে আমরাও ৫০% দিচ্ছি। তাহলে তোমার নাম রাখব, আমার নাম কেন রাখব না?’’
ফিরহাদ হাকিমের এই দাবি ও প্রশ্নের জবাব দেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় দুর্নীতি এবং অস্বচ্ছতা হলে আগামী দিনেও আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। আমরা চাই, ভোটের সময় রাজনীতি হোক। কিন্তু সারা বছর স্বচ্ছতার সঙ্গে বাংলার উন্নয়ন হোক। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুফল পাক বাংলার মানুষ।’’