বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘তিনি একজন শিক্ষাবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে তাঁর স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। তবে তাঁর কাজ এবং চলার পথ ভিন্ন হতে পারে, সে ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে এটুকু বলতে পারি, তবে কে বলেছে সে ব্যাপারে কোনও প্রশ্ন করবেন না জানিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক দাবি, ‘‘কিছুদিন আগে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনের বৈঠকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে জানান যে, সিকিউরিটি কমিশন নোটিফিকেশন, লোকায়ুকত বিল ও অন্যান্য বেশ কিছু বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে এও বলেন, আপনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে করার যে কথা আপনি বলেছেন সেটাও আমি ছাড়পত্র দিতে পারব না। কারণ এক্ষেত্রে ইউজিসি এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার প্রসঙ্গ জড়িয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে আত্মসমর্পণ করে বলেন, আমি লোকায়ুকত প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আগের রাজ্যপালের সঙ্গে আমার বিরোধ ছিল, তাই আমি ওনাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনার সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই, তাই আচার্য পদ পরিবর্তন বিল নিয়ে আমি আর আপনাকে কিছু বলব না।’’
advertisement
আঙুর ফল টক। এই বেআইনি বিলগুলো রাজ্যপালকে দিয়ে সই করাতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমানে দেশের উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় সংবিধান রক্ষার বিষয়ে তাঁর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘উনি থাকাকালীন রাজভবনকে একটা উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।’’ শুভেন্দুর কথায়, ‘‘রাজ্যপালের সঙ্গে উপাচার্যদের যে বৈঠক হয়েছে তা আই ওয়াস, নাটক ছাড়া কিছু নয়।’’
শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আরও বলেন, ‘‘যারা প্রতিবাদী, যারা অত্যাচারিত তাদের থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর লক্ষ্যেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে দিয়ে নাটক করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজ্যপাল মহোদয়কে আমি তো আর উপদেশ দিতে পারি না। ওনার সঙ্গে দেখা হলে শুধু এটুকু অনুরোধ করতে পারি যে, তৃণমূলের কথায় তাঁরও সতর্ক থাকা উচিত।’’ শুভেন্দু অধিকারীর চাঞ্চল্যকর দাবি, ‘‘রাজ্যপালের সঙ্গে যে সমস্ত উপাচার্যরা বৈঠক করেছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই যোগ্যতা অনুযায়ী উপাচার্য হননি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টাকা দিয়ে উপাচার্য পদে অনেকেই নিয়োগ পেয়েছেন। সমস্ত উপাচার্যদের নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছে। সুযোগ পেলে রাজ্যপালকে আমি এ কথাও জানাবো।’’