শুভেন্দুর নিশানায় যে দিলীপই, তা বুঝতে সমস্য়া হয়নি রাজনৈতিক মহলের। কারণ কলকাতায় হোক জেলায়, এ রাজ্য়ে থাকলে নিয়মিত প্রাতঃভ্রমণে বেরোন দিলীপ। মর্নিং ওয়াকের ফাঁকেই সংবাদমাধ্য়মের মুখোমুখি হয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: লালন মৃত্য়ুতে চাপে সিবিআই, শুরু বিভাগীয় তদন্ত! দিল্লি থেকে রিপোর্ট তলব
advertisement
সোমবার দিল্লিতে শুভেন্দুর ডিসেম্বর হুঁশিয়ারি নিয়ে মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। ডিসেম্বরে বড় কিছু ঘটতে চলেছে বলে শুভেন্দু যে দাবি করেছিলেন, তার মধ্য়ে ছিল ১২ ডিসেম্বর দিনটির উল্লেখ। সোমবার দুপুরে সে প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, "ঐতিহাসিকভাবে ভাবে এই দিনটির গুরুত্ব দিনটি জানি না। তবে রাজনৈতিকভাবে এই দিনটির কোনও গুরুত্ব নেই।"
সোমবার গোটা দিন পেরিয়ে গেলেও শুভেন্দু অধিকারীর ভবিষ্য়দ্বাণীর কোনও প্রতিফলন দেখা যায়নি। নয়াদিল্লির নর্থ অ্য়াভিনিউয়ের বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "আদালতে আজ তিনটি মামলা রয়েছে। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। যাঁরা বলেছেন, তাঁরা আরও বেশি ভিতরের খবর রাখেন। আমার মনে হয়, আদালতের মামলায় সরকার থাকবে কিনা, সেটা কিছুটা নির্ভর করে। আরও কিছু বিষয় আছে হয়তো। সময় আছে এখনও। এ মাসের তো মাত্র ১২ দিন হয়েছে। বিশ্বকাপে শেষ মিনিটে গোল হতে দেখেছি। এখানেও অনেক কিছু হতে পারে।"
আরও পড়ুন: কর্মিসভার সঙ্গে প্রাক বড়দিনের উৎসব, মেঘালয়ে আজ জনসংযোগে মমতা
দিলীপের এই মন্তব্য়ের পরই সন্ধ্য়ায় হাজরার সভা থেকে পাল্টা জবাব দেন শুভেন্দু। যদিও কারও নাম করেননি তিনি। পাশাপাশি, ১২ ডিসেম্বর উল্লেখযোগ্য় কিছু না ঘটারও ব্য়াখ্য়া দিয়েছেন তিনি। এবার শুভেন্দুর মুখে শোনা গিয়েছে জানুয়ারি মাসের কথা।
বিরোধী দলনেতা বলেন, '১২ ডিসেম্বরটা ১৩ জানুয়ারি হতে পারে, ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে না। আমি সকালে হাঁটতে গিয়ে মিডিয়াতে স্টেটমেন্ট করি না। যা বলি ভেবে বলি।' শুভেন্দু আরও বলেন, 'হয়তো সিস্টেম অনুযায়ী, হয়তো অন্য় কারণে ১২ ডিসেম্বরটা ১৩ জানুয়ারি হতে পারে। ' শুভেন্দু হাজরার সভা থেকেও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দাবি করেছেন, খুব শিগগিরই বড় কিছু ঘটবে। শুভেন্দু যখন দিলীপকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলছেন, তখন মঞ্চে বসে রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। সবমিলিয়ে দিলীপ-শুভেন্দু দ্বন্দ্বে বেজায় অস্বস্তিতে রাজ্য় বিজেপি।
দিলীপ শুভেন্দু সংঘাত অবশ্য় বিজেপি-তে নতুন কিছু নেই। বঙ্গ বিজেপি-র দুই শীর্ষ নেতার দ্বন্দ্ব মেটাতে বার্তা দিয়েছিল দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। এর পরে দূরত্ব ঘোচাতে দিলীপের জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু বাস্তবে দূরত্ব আদৌ মিটেছে কি না, সোমবারের পর সে প্রশ্ন উঠছেই।