বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ সাংগঠনিক জেলার ডাকে কর্মী সম্মেলনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 'তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেছিলেন যাতে বিজেপি বিধায়ক তথা একসময়ের তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায়কে বিরোধী দলনেতা হিসেবে নির্বাচন করে বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা না হওয়ায় তারপর থেকেই 'মানসিক অবসাদে' ভুগতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'।
advertisement
আরও পড়ুন: 'নতুন একটা 'ভুজুং'! পঞ্চায়েতে কী হতে চলেছে? রায়দীঘিতে বড় 'রায়' দিলেন দিলীপ ঘোষ
শুভেন্দুর এই চাঞ্চল্যকর বক্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। যদিও পরবর্তীকালে মুকুল রায়ের নিজের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ঘর ওয়াপসি হয়। বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হলেও মুকুল রায় এখন তৃণমূল নেতা।
পদ্ম শিবিরের এক নেতার কথায়,' একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়া সঙ্গী ছিলেন মুকুল রায়। পরবর্তীকালে বিজেপিতে যোগ দিলেও মুকুল রায়ের উপর সেভাবে ভরসা করেনি বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মুকুল পদ্ম শিবিরে যোগ দিলেও বাংলা জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় গেরুয়া শিবিরের কাছে। শেষমেষ পদ্মফুল থেকে ঝরে পড়ে মুকুল। শুভেন্দুর দাবি, 'বিরোধী দলনেতাকে 'সেটিং' করে নির্বিঘ্নে সরকার চালানোর কৌশল থেকেই মুকুল রায়কে বিরোধী দলনেতা হিসেবে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'।
শুভেন্দু অধিকারী সব সময়েই বলে থাকেন,' শুভেন্দু অধিকারী 'সেটিং' বিরোধী দলনেতা নয়, আর বিজেপিও 'সেটিং' বিরোধী দল নয়'। বিধানসভায় মুকুল রায়কে বিরোধী দলনেতা করার জন্য কেন রাজ্যপালের কাছে আবেদন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই প্রশ্নের যদিও কোনও ব্যাখ্যা না দিলেও শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন 'এ কেমন বিরোধী দল! আমি বলছি রাজ্যের বিরোধী দল ঠিক পথেই এগোচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ আগামী দিনে আরও তীব্র হবে। উনি ভেবেছিলেন বিরোধীদলকে ম্যানেজ করে সরকার পক্ষ একের পর এক দুর্নীতি আর বেনিয়ম করে পার পেয়ে যাবে। আর বিরোধী দল তথা সেই দলের নেতা চুপ করে বসে থাকবে। তা না হওয়াতেই বিরোধী দলনেতা এবং বিরোধী দল বিজেপির প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, 'এ কেমন বিরোধী?'