শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘মনসুন অধিবেশন শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন করে ফের অধিবেশন ডাকতে গেলে রাজ্যপালের কাছে অনুমতি নিতে হবে। স্পিকারের বিরুদ্ধে যে অনাস্থা আমরা এনেছিলাম তা পাঠ করতে দেওয়া হয়নি। যদি বিশেষ অধিবেশন করতে হয় তাহলে বিধানসভার পক্ষ থেকে সেই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি রাজ্যপালের কাছ থেকে নিতে হবে।’’
আরও পড়ুন– রাশিফল ২৯ অগাস্ট: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
advertisement
শুভেন্দুর দাবি, ‘‘প্রস্তাব উনি ( মুখ্যমন্ত্রী) আনতে পারেন না। কারণ প্রস্তাব কোনও আইন নয়। বিল আনার ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমতি লাগবেই। আমার বিশ্বাস সংবিধানের প্রধান এবং ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যপাল কোনও বেআইনি কাজ করবেন না। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার পর মুখ্যমন্ত্রী এটা করতে পারেন না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ভুল বোঝানোর জন্য এই সব উনি করছেন। জনরোষ থেকে নজর ঘোড়াতে চাইছেন। জোর করে তিনি অধিবেশন করতে পারেন না। বিজেপি বিধায়করা আমরা বিধানসভার বাইরে দেখে নেব গোটা বিষয়টি। এর শেষ দেখে আমরা ছাড়বো। ছাত্র সমাজকেও বলবো যে, জোর করে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ ইস্যুতে অধিবেশন ডাকলে ওইদিন আপনারা বিধানসভা অভিযান করুন।’’
বলা বাহুল্য, রাজ্য বিধানসভায় ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের উপর বিল পেশ ইস্যুতে আগামী মাসের প্রথম দিকেই বসতে চলেছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। বিশেষ অধিবেশনে পেশ হবে সেই বিল। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় এমনই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে খবর। মঙ্গলবারই পেশ হতে পারে সেই বিল রাজ্য বিধানসভায়। বিধানসভায় কড়া আইন আনতে চায় রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ বক্তব্য, ধর্ষকদের ফাঁসি হবে ১০ দিনের মধ্যে। রাজ্যপালকে সই করতে হবে। তিনি সই না করলে মহিলাদের অবস্থান হবে রাজভবনে। খালি রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ মানা হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পাল্টা হুঙ্কার দিলেন বিরোধী দলনেতা।