তাঁর বিস্ফোরক দাবি, 'নন্দীগ্রামের টেট পরীক্ষার্থীদের পাঠানো হয়েছে হলদিয়া। কাঁথির পরীক্ষার্থীদের যেতে হয়েছে তমলুক। আর তমলুকের পরীক্ষার্থীদের যেতে হয়েছে রামনগরে। তাহলে তৃণমূলের মালদহের এক তৃণমূল বিধায়কের মেয়ে এবং জামাই নিজের গ্রামের স্কুলে কী করে পরীক্ষা দেয়? বাড়ির পাশের স্কুলে কী করে পরীক্ষা কেন্দ্র হয়? তৃণমূল একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দল। প্রকৃত মেধাযুক্তদের কোনও দিন চাকরি দেয়নি। আর আগামী দিনেও দেবে না। বাছাই করা স্থানে তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের পরীক্ষাকেন্দ্রের ব্যবস্থা করার বিভিন্ন খবর আমাদের কাছে আসছে। আমরা সব নজর রাখছি। সব তথ্য সংগ্রহ করছি। বিচারব্যবস্থা যেভাবে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এগিয়ে এসেছে, এসব তথ্যও আদালতের হাতে তুলে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের।'
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলের নজরে মেঘালয়, উত্তর-পূর্ব ভারতে কি বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? নজর সকলের
রবিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'টেট পরীক্ষা হয়েছে একটা গণ উৎসবের মতো।' রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আরও একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, "একটা 'ধারণা' তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল আমাদের দফতর নিয়ে। আশা করি আজকের এই পরীক্ষা একটা বার্তা দেবে তাদের জন্য। শুধু তাই নয় সাধারণ মানুষ ও পরীক্ষার্থীদের জন্যও ইতিবাচক বার্তা দেবে আজকের পরীক্ষা।"
রবিবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "এটা একটা গণ উৎসবের মতো হয়েছে। একটা দল চেষ্টা চালাচ্ছিল যাতে আমাদের পরীক্ষা বানচাল হয়। একদল সত্যি চেষ্টা করেছিল।' কিন্তু যে ভাবে পরীক্ষা সংগঠিত হয়েছে তাতে তাদের কাছেও বার্তা পৌঁছবে বলেই দাবি ব্রাত্য বসুর।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ আবু তাহেরের বাড়িতে কুণাল ঘোষ! আইনি সাহায্যের আশ্বাস মা-কে!
একই সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি খারিজ করে ব্রাত্য বলেন, "কোনও প্রশ্ন ফাঁস হয়নি, কোনও প্রশ্নপত্র লিক হয়নি।" তিনি এও বলেন, "সবাই হয়তো চাকরি পাবেন না। এটা আজ আমাদের একটা প্রাথমিক পদক্ষেপ হল। তবে নিয়োগের বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপে আমরা যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেব।'
ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্য প্রসঙ্গেই শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে শুভেন্দুর প্রশ্ন, 'আগে উনি পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে সাধারণ পরীক্ষার্থীদের জন্য এক নিয়ম আর শাসক দলের পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা কেন? এর উত্তর দিন।'
পাশাপাশি প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগেও সরব হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'পিসি ভাইপোর জন্য রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা থাকলেও রবিবার লক্ষ লক্ষ টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য রাস্তায় কোনও ট্রাফিক পুলিশি ব্যবস্থা ছিল না।' এর জেরে অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে সময় মতো পৌঁছতেই পারেননি বলে দাবি বিরোধী দলনেতার।