এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পিটিশন জমা দেয় শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা। তাঁরা উল্লেখ করেন, "শুভেন্দুর বাড়ি কাঁথিতে। ওখান থেকে কলকাতার এই আদালতে এসে ব্যক্তিগত হাজিরা রদ করুন। ওঁর পরিবর্তে হাজির থাকবেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। অন্যদিকে শুনানিতে কুণালের আইনজীবী উল্লেখ করেন, শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। ওঁর পিটিশনে উল্লেখ রয়েছে যে ওঁর অফিস বিধানসভায়। আর সেখান থেকে আদালতের দূরত্ব সামান্যই। তাই কাঁথির প্রসঙ্গ আসে না। গত তিন দিনের সওয়াল জবাবের পরে আজ নির্দেশ কপি আসে। সেখানেই ২২ সেপ্টেম্বর হাজির থাকতে বলা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে।"
advertisement
আরও পড়ুন: ৩ বছর অতিক্রান্ত! এখনও শেষ হল না বউবাজারের কাজ, হতাশার অন্ধকারে বাসিন্দারা
১৯ নম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুনানির পর অর্ডার রিজার্ভ রেখেছিলেন বিচারপতি। এবার অর্ডার দিয়েছেন। সূত্রের খবর, শুভেন্দু আইনজীবীদের বড় টিম এনে লড়েন এই মামলা। পিটিশন করেন ওঁর বাড়ি কাঁথি এই মর্মে। কলকাতা থেকে দূরত্ব অনেক তাই সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ মেনে ওকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে ছাড় দেওয়া হোক বলে আদালতে আবেদন করেন শুভেন্দুর আইনজীবীরা।
কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেন ওঁর পিটিশনে লেখা, "উনি বিরোধী দলনেতা, বিধানসভায় বসেন। উনি রাজনীতির জন্য সারা বাংলা ঘোরেন। তাহলে বিরোধী দলনেতার অফিস তো আদালত থেকে তিনশো মিটার দূরে। ওখানে এলে কোর্টে আসবেন না কেন? কোর্টকে গুরুত্ব না দেওয়ার প্রবণতা ঠিক নয়।" এরপর কোর্ট তার নির্দেশে শুভেন্দুর পিটিশন খারিজ করে ২২ সেপ্টেম্বর সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে।