প্রসঙ্গত, কাঁথি সনাতনী সম্মেলনের অনুমতি মামলা ঝুলে ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। ওই সম্মেলনে প্রায় ৫০০০০ জনের জমায়েত হবে বলে দাবি করেছিলেন উদ্যোক্তারা। ওই সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। ৩০ এপ্রিল একই দিনে দিঘা জগন্নাথ ধামের উদ্বোধন।
advertisement
জগন্নাথ ধামের উদ্বোধনে ১ লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে। ডিসেম্বরেই ঘোষণা হয়েছিল, আগামী ৩০ এপ্রিল জগন্নাথ ধাম উদ্বোধন হবে। কাঁথির সভার তাই অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। ওইদিন ঐতিহ্যশালী নাচিন্দা মন্দিরেও ভিড় সামলাতে হয় প্রশাসনকে। তাই অনুমতি দেওয়া হয়নি। আদালতে এমনটাই জানিয়েছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।
শুধু তাই নয়, অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রশ্ন তুলেছিলেন, ”৫০০০০ জমায়েত কীভাবে সম্ভব কিছু অখ্যাত মানুষের ডাকের ধর্মীয় সম্মেলনে। সত্যিটা বলুক না, আড়ালে কে ফান্ড জোগাচ্ছে, সাহায্য করছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার পক্ষে ১০টা বায়োটয়লেট জোগাড় করা সম্ভব নয়। কে দিচ্ছে ৩০টির বেশি বায়ো টয়লেট। বাজেট কী এই অনুষ্ঠানের?” নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের।
পাশাপাশি ধর্ম সম্মেলনের অনুমতি চেয়ে প্রথম মামলাকারী রামেশ্বর বেরা সই জাল করে মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছিল। প্রথম মামলাকারী রামেশ্বর বেরা’র সই যাচাই করতে CFSL-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। দ্বিতীয় মামলাকারী শঙ্কর বেরার দায়ের করা মামলার এদিন অবশ্য শর্তসাপেক্ষে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।