২০১৯-এ মুকুল রায়ের (Mukul Roy) হাত ধরে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস।দু'বার তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হওয়া বিশ্বজিৎ উত্তর ২৪ পরগণার জনপ্রিয় মুখ। গতকাল তৃণমূলে যোগ দিয়েই তিনি রীতিমতো বার্তা দেন। বিজেপিকে বলেন, আগামী দিনে উত্তর ২৪ পরগণা বিজেপি-তে ধ্বস নামবে। প্রাথমিক ভাবে তাঁর মন্তব্য উড়িয়ে দিয়েছিলেন বনগাঁর বিজেপি জেলা সভাপতি মনস্পতি দেব। তিনি বলেছিলেন, "উনি কবে জ্যোতিষ হলেন, আগে জানলে হাত দেখিয়ে নিতাম। কিন্তু দলের তরফে বিশ্বজিতের মন্তব্যকে কোনও ভাবেই হালকা ভাবে নেওয়া হচ্ছে না। আর তা প্রমাণ করছে শুভেন্দু অধিকারীর সক্রিয়তাই।"
advertisement
কথা ছিল, আজ ১ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গে পৌঁছাবেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বৈঠক করার কথা ছিল ২৯ জন বিধায়কের সঙ্গে। শোনা যাচ্ছিল, সাংসদদের সঙ্গে বসতে পারেন তিনি। কর্মীদের উজ্জীবিত করা, প্রতিশ্রুতির দায় নেওয়া আর নীচুতলার মন বোঝা-এই ছিল শুভেন্দুর উত্তরবঙ্গ যাত্রার অ্যাজেন্ডা। কিন্তু বিশ্বজিত দাস উত্তর চব্বিশ পরগণায় এই আকস্মিক এই দাবার দান দেওয়া হতচকিত বিজেপি। সেই কারণেই সফরসূচি বদল করছেন শুভেন্দু অধিকারী। যাচ্ছেন উত্তর চব্বিশ পরগণায়।
তবে শুভেন্দু উত্তর ২৪ পরগণায় গেলেও আজ উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গের সমস্ত বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা, দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা ও রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির বৈঠকে উত্তরবঙ্গে সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার জন্য দাবি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদরা। সাংসদদের দাবি ঘিরে তৈরি হচ্ছে বিভ্রান্তি। উত্তরবঙ্গের মানুষের দাবি ও রাজনৈতিক কর্মসূচির মেলবন্ধনের চেষ্টা করা হবে, রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর।
