আরও পড়ুনঃ এই জিনিসগুলো সরিয়েছেন তো? না হলে সমস্যা বাড়তে পারে, জেনে নিন কীভাবে ঘর পরিষ্কার করবেন মহালয়ার আগে
সোমবার যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যাদবপুরে যারা সংবিধান মানে না, যারা হেরোইন আর চরসের আখড়া করে রেখেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের লালন-পালন করেন। কারণ, ভোটের সময় এরা ‘নো ভোট টু মোদী’ স্লোগান দেয়।” বিজেপি ক্ষমতায় এলে যাদবপুরের পরিস্থিতি বদলে যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “বিজেপিকে আনুন, একদম সাফ করে দেব আমরা। যাদবপুরে যত জঞ্জাল আছে, সব পরিষ্কার করে দেব।” তার এই মন্তব্যে যাদবপুর বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এর আগে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো বা বন্দে মাতরম গান গাওয়ার বিরোধিতা নিয়েও তিনি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোকে তীব্র আক্রমণ করেন।
advertisement
যাদবপুরে ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো গৌরব ফিরিয়ে আনতে এবং মূল স্রোতে আবারও শামিল করতে বিজেপিকে আনতে হবে । বিজেপি আসলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।” এছাড়াও, ভিন রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্তা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এগুলো বেশিরভাগই ভুয়ো প্রচার। হরিয়ানা সরকার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, সেখানে আটক হওয়া এক হাজার বাংলাভাষীর মধ্যে ৯১৫ জনই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী।”
তিনি আরও বলেন, “যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পোড়ায়, তাঁরা বাংলা ও বাঙালির রক্ষক হতে পারে না।” তাঁর এই মন্তব্যও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে শুভেন্দুর এই কঠোর মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।বিজেপি-র ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ফের আজ বলেন, “বিজেপি-কে আনুন, সব সাফ করে দেব।” তবে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য কতখানি রাজনৈতিক ভাবে সুবিধা দিতে পারবে বিজেপিকে সেটার জবাব মিলবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পর।