এদিন শাসকদলকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ধারাবাহিক ভাবে তৃণমূল এগুলো সবক্ষেত্রেই করে চলেছে। গতবছর যখন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা বগটুই গণহত্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন, তখনও তৃণমূলের বিধায়করা এই পরিস্থিতি তৈরি করেন।’’ শুধু তাই নয় খেজুরি ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতিতে স্থায়ী সমিতির নির্বাচনেও একই অবস্থা তৈরি হয় বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা৷
advertisement
শুভেন্দুর আক্রমণ, ‘‘আসলে যখনই দুর্নীতি নিয়ে কথা ওঠে তখনই তারা হিংস্র হয়ে ওঠে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার দম্ভে বিরোধীদের সাংবিধানিক অধিকারের কণ্ঠরোধ করা এদের অভ্যেসে পরিণত হয়েছে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় ও মেয়র ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ , বিজয় ওঝার উপরে যেভাবে ‘আক্রমণ’ হয়েছে তাতে কলকাতা কর্পোরেশনের দীর্ঘ গৌরবময় ইতিহাস কলুষিত হয়েছে৷ ঘটনাটিকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু৷
আরও পড়ুন: কোথাও গেরুয়া, কোথাও পরনে খাকি পোশাক, জন্মদিনে দেখুন নরেন্দ্র মোদির অদেখা সব ছবি
বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত, সজল ঘোষ ও বিজয় ওঝা-দের আশ্বস্ত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে আমি ওঁদের পাশে আছি। দুর্নীতি, স্বজন-পোষণ ও একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে এবং আমরা সফল হব।’’
খাস কলকাতায় বুলডোজার দিয়ে বিজেপি নেতার বাড়ির একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে, গত শনিবার পুরসভার অধিবেশনের শেষে এই অভিযোগ তুলে প্রশ্ন করেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তার উত্তরে মালা রায় জানান, অধিবেশনে এই নিয়ে আলোচনা করা যায় না। মালা রায়ের এই মন্তব্য ঘিরেই উত্তর-প্রত্যুত্তর পর্ব চলতে থাকে৷ উত্তর দেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ৷ একটা সময় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু ও বিজেপির সজল ঘোষ৷
বিবদমান দুই কাউন্সিলরকে থামাতে উঠে আসেন তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লে এবং বিজেপির বিজয় ওঝা। কিন্তু, তাতেও বিশেষ লাভ হয় না৷ উল্টে বিজয় এবং সুদীপ নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। সুদীপ পোল্লে তো রীতিমতো কুস্তির কায়দায় সজল ঘোষকে বগলদাবা করে নেন। তখন পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয়।
