শুভেন্দুর প্রশ্ন ১) তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত ওই মহিলা পুলিশকর্মীর পুলিশের ট্রেনিং পর্ব কি শেষ হয়ে গিয়েছিল? শুভেন্দুর প্রশ্ন ২) আমি আমার সোর্স মারফত খবর পেয়েছি আক্রান্ত ওই মহিলার ট্রেনিং এখনও সমাপ্ত হয়নি। ট্রেনিং সম্পূর্ণ না হওয়ার আগে কাউকে আইন-শৃঙ্খলার রক্ষায় মোতায়েন করা যায় না। তাহলে কীভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ওই মহিলা পুলিশ কর্মীকে ১৪ অগস্ট রাতে মোতায়েন করা হল? শুভেন্দুর প্রশ্ন ৩) বেআইনিভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ওই মহিলাকে কাজে নিয়োগ করার জন্য দায়ী কে?
advertisement
আরও পড়ুন: কে রটিয়েছিল আত্মহত্যার খবর? জানুক CBI, এমন একশো প্রশ্নের উত্তর চন সুখেন্দুশেখর
এই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের যে পর্যাপ্ত পুলিশ নেই৷’’ সেই রাতে আরজি করে পরিকল্পনা করে তৃণমূলীদের তাণ্ডবে কার্যত মদত দেওয়ার কাজে ব্যস্ত ছিল পুলিশ বলেও রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশকে নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা।
গত পরশু, শুক্রবার, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য পুলিশের তরফে পোস্ট করে লেখা হয়, ‘রাতটা কি শম্পারও ছিল না? ও-ও তো কর্মস্থলেই ছিল’। মেয়েদের রাত দখলের রাতে কর্তব্যরত অবস্থায় এক মহিলা পুলিশকর্মীর রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আনে রাজ্য পুলিশ এও উল্লেখ করে, ‘আমাদের সহকর্মী শম্পা প্রামাণিক বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে কর্মরত৷ গত ১৪ অগাস্ট রাতে যাঁরা পথে নেমেছিলেন তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থে কর্তব্যরত ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করেই বিনা প্ররোচনায় এক ঝাঁক ইট পাটকেলের টুকরো ভিড়ের মধ্যে থেকে উড়ে এল পুলিশের দিকে৷ তার মধ্যেই একটা সজোরে লাগে শম্পার মুখে৷’
আরও পড়ুন: ‘রাতটা কি শম্পারও ছিল না!,’ রক্তাক্ত-আহত মহিলাকর্মীর ছবি প্রকাশ্যে এনে প্রশ্ন পুলিশের
রাজ্য পুলিশের তরফে এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই মহিলাকর্মীর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে একাধিক প্রশ্নও উত্থাপন করলেন বিরোধী দলনেতা।